গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা):গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মনিকা খাতুন (১৬) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে বুধবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় মনিকাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মনিকা খাতুন ওই গ্রামের কাঠমিস্ত্রি মোতাকাব্বের রহমানের মেয়ে। মনিকা তালতলা দ্বি-মূখি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মনিকার বাবা মোতাকাব্বের রহমানের অভিযোগ, তিনি পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী। কাজের চাপে তিনি বুধবার বাড়িতে ছিলেন না। বুধবার রাতে বাড়িতে মনিকা তার ছোট বোন মিমকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাপাসিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রুবেল মিয়া বাড়িতে এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করে। এসময় মনিকা দরজা খুললে রুবেল তাকে মুখ চেপে টেনেহেঁচড়ে বাড়ির পাশে তালতলা ব্রিজের পূর্ব দিকে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর রুবেল তার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, মনিকা অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়িতে এসে ছোট বোন মিমকে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার বিষয়ে হাত দিয়ে ইসারা করেন। পরে ছোট বোন মিম চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে মুমুর্ষ অবস্থায় মনিকাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। কিন্তু বগুড়া নিয়ে যাওয়ার পথে রাত ৩ টার দিকে মনিকার মৃত্যু হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে মনিকাকে ধর্ষণ ও বিষ খাওয়া হয়েছে কিনা।

এ ঘটনায় রুবেল মিয়া সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫জনকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেল মিয়াকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


(এসআরডি/এসসি/সেপ্টেম্বর১৭,২০১৫)