ফেনী প্রতিনিধি: সোনাগাজী উপজেলার চর ছান্দিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ওলামা বাজার সেকান্তর মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চর ছান্দিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার নুর ইসলামের এর পৈত্রিক বাড়ি (ছোবহান মাঝি বাড়ি) ও বাড়ির সম্মুখের ৭ ফুট প্রসস্ত সড়ক স্কুলের নামে দখলের চেষ্টা চালাচেছ স্কুল কমিটি।

ভুক্তভোগী পরিবার জানান, আজগর আলী পাটোয়ারীর ওয়ারিশ দের নিকট হইতে তারা প্রথমে নাল জমি (ডিএস ১৮৬০) ক্রয় করে বসত ভিটা স্থাপনের মাধ্যমে দেড়শ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। পরে একই মালিকদের কাছ থেকে জমি (ডিএস ১৮৬৫) ক্রয় করে ওলামাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠ হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। তাদের দলিলের চৌহদ্দির বিবরনে উল্লেখ রয়েছে পুর্বে সারেং বাড়ির দেয়াল, উত্তরে খাল, দক্ষিণে স্কুল ভবন, পশ্চিমে ৪ ফুট ড্রেন ও ছোবহান মাঝীর বাড়ির সড়ক। কিন্তু পশ্চিম পাশে অবস্থিত সড়কের উত্তর প্রান্তে বাড়ির বসবাসকারীদের অনুমতি নিয়ে কৌশলে গেইট স্থাপন করে বিদ্যালয় কমিটি।

গত ৩ মাস পুর্বে বিদ্যালয় কমিটিতে কিছু বিতর্কিত, জবর দখলকারী ও জুলুমবাজ লোক যুক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে বাড়ির রাস্তাসহ বাড়ির কিছু অংশ দখলের জন্য উঠে পড়ে লাগে। এর অংশ হিসেবে গত সাপ্তাহে এক দল সশস্ত্র যুবক তাদের মনগড়া জায়গায় পিলার স্থাপন করে এবং প্রচীর নির্মাণের পায়তারা করছে।

মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম আরো জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , উপজেলা সার্ভেয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, কিন্তু আমাদের কোন মতামত ছাড়াই স্কুল কমিটিকে প্রাচীর নির্মাণের অনুমতি দেন। আমরা আদালতে ১৪৪ ধারায় অভিযোগ করেছি, জমি ও রাস্তা উদ্ধারে দখলবাজদের বিরুদ্ধে আরো মামলা করব তবুও বাপ দাদার ভিটে ছাড়বনা। স্কুল কমিটির ২ জন সদস্য সরকারি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে হত্যা, গুমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু ছুফিয়ান জানান, আমরা দলিল ও খতিয়ানের আলোকে আমাদের ন্যায্য বেদখলি ভুমি উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানান, রাস্তাটি ছোবহান মাঝি বাড়ির, ড্রেনের বাহিরে বিদ্যালয়ের জায়গা নেই।

(এমকে/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫)