রানীশংকৈল প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের সীমান্ত ঘেষা জেলা ঠাকুরগাওঁ। এ জেলার ৭০% মানুষ কৃষি নির্ভর।

তাই তো জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় কৃষি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলামের সহযোগীতায় জমি আবাদে চোখে পড়ার মত ব্যাপক সাফল্য বিস্তার করছে।

উপসহকারী কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলার ৮নং নন্দুযার ইউনিয়নের ৪৪০০টি কৃষক পরিবারের ৩৫৫০ হেক্টর জমিকে আবাদি হিসেবে ইতিমধ্যে গড়ে তুলেছেন। কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বাসার আশে পাশে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত জায়গাগুলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে বিভিন্ন প্রজাতির সবজির চাষ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করছেন। যেমন লাল শাক. শিম, লাউ, কৃমড়া, মূলা স্বল্প মেয়াদের ফল পেপে ও কলা ইত্যাদি।

কৃষকদের মাঝে তিনি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্ধে ধারণা দিয়ে কৃষি কাজে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। যেমন বনগাঁও ব্লকের সন্ধারই গ্রামে বিভিন্ন কৃষকের বাড়িতে পরিবারে প্রতিদিনের উছ্বিষ্টাংশ, ময়লা আর্বজনা ও গোবর যত্রতত্রে এলোমেলো ও খোলা জায়াগায় না ফেলে একটি গর্ত করে চারপাশে মোটা করে মাটি দিয়ে আইল বেধে দিয়ে গর্তের উপরে টিন বা পলিথিনের চালা দিয়ে খামার জাত সার উৎপাদনের জন্য নিজে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করছেন।

উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে তিনি তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা বনগাঁও ব্লকের সন্ধারই গ্রামে রাস্তার ধারে প্রায় ১৫০টি নিম গাছের চারা ও ২০০টি তালের বীজ রোপন করেছেন এবং এবার তিনি কৃষি প্রযুক্তি কর্ণার স্থাপন করে আমন ধান চাষে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করেছেন।

বর্তমানে তিনি তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় কৃষকদের আমন ধানের কারেন্ট পোকার উপর সচেতনতা মূলক সভা ও উঠান বৈঠক করছেন। ঐ এলাকার কৃষকরা এখন উপসহকারী কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলামের চরম বন্ধুত্বমূলক আচরনের মধ্যে দিয়ে পরামর্শ গ্রহণ করে চরম উপকৃত হচ্ছেন বলে জানান কৃষক ফারুক, হিরেন, শামসুল।

তারা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, আগের সাহেবা লার চে এই সাহেবটা অনেক ভাল, হামাক অনেক বুঝাছে ক্ষেত বাড়ি ভাল করে কেন্নে আবাদ করবা হবে, কি করলে ভাল আবাদ হবে। হামার কৃষি অফিসের সাহেবটা অনেক ভালো হামাক খুব সাহায্যে করছে।

(কেএএস/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫)