আমার ছুটি নেই

জানিনা নিজেই এসেছি
নাকি কোন চোরাটান
আমাকে এনেছে এখানে
সামনে রোদের মলাটে
এক বিশাল মহাকাব্য
কোন পৌরাণিক যুগে শুরু হয়েছে জানিনা
পাতায় পাতায় উজ্জ্বল কাহিনী
আমি এখানে বড্ড বেমানান!
ফিরে যাওয়ার জন্য পিছু ফিরতেই দেখি
যে ধোঁয়া পথ ধরে এসেছিলাম
কোন মায়াবিনীরর গুপ্ত মন্ত্রে তা উধাও,
সেখানে প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকার
দ্বিতীয় পথ নেই
পা রাখলাম কাব্যের অচেনা পথে
বর্ণময় শব্দের ভিড়ে আমার ভাঙা নূপুর শব্দহীন
খুঁজে পাচ্ছি না নিজেকে
মনে পড়ছে না পূর্বজন্মের কথা
আমি কি চর্যাপদ থেকে এসেছি?
পদাবলী?
মঙ্গল কাব্য?

আমি ছুটছি অনন্তকাল
আমার ছুটি নেই।


দুপুরের ক্যানভাসে


গা গড়ানো একলা দুপুর
আমি ক্যানভাসের মুখোমুখি
মাঝখানে শান্ত অপেক্ষায়
জল,রঙ,তুলি,প্যালেট...
চোখে চোখে অনুমান
লোকালয়কে বহুক্ষণ ছেড়ে আসা
এক দীর্ঘ উদাসী পথ
দুপাশে নান গাছের সারি
সবুজ,হালকা সবুজ,গাঢ় সবুজ
গাছেদের তলায় তলায় জমাট অন্ধকার
যা দুপুর রোদেও গলে না
সেই অন্ধকারে বুনো লতাদের
নিষিদ্ধ জড়াজড়ি
প্যালেটের খোপে খোপে
সবুজের রকমারি গাঢত্ব
রকমারি নাম
ভিজিয়ে নিলাম তুলি-

এমন সময় কে যেন
দু পায়ে পথ মেখে
দরজায় এসে দাঁড়ালো
আমার আর আঁকা হল না।


(0/এসসি/সেপ্টেম্বর২৪,২০১৫)