নিউজ ডেস্ক: সার্ক নেতাদের বেশি বেশি পারস্পরিক সাধারণ অলোচনা অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হবে বলে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শীর্ষ সম্মেলন পর্যায়ের আলোচনার পাশাপাশি এ ধরনের আলোচনা বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করেন তারা।

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থানকালে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এমত দিয়েছেন দুই নেতা।

সেখানে হোটেল ওয়ালড্রফ এ্যাস্টোরিয়ায় দুই নেতার মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের অনির্ধারিত ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। দুজনই ওই হোটেলে অবস্থান করছেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রায় আধা ঘন্টার বৈঠকে উভয় নেতা স্থল সীমানা চুক্তি (এলবিএ) ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন সহ আঞ্চলিক এবং পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিস্ট বিভিন্ন বিষয নিয়ে কথা বলেন।

প্রেস সচিব জানান, তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি যে স্বাক্ষরিত হবে এ নিয়ে নরেন্দ্র মোদি তার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তবে, তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের দু’টি প্রধান প্রকল্প রুপপুর পারমাণবিক শক্তি প্ল্যান্ট ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প নিয়ে তার গভীর আগ্রহের কথাও জানান।
রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুরে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে বাংলাদেশ টিমের সামর্থের প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ভারতের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে মোদি এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ারও প্রস্তাব দেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের আমলাদের সমন্বিত ও আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং চুক্তি কার্যকর করার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মোদি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য এই চুক্তি একটা মডেল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে সমস্যা আছে থাকতে পারে তবে, সব বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে এই অঞ্চলের চার জাতির মানুষেরা অনেক উপকৃত হবেন।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।শেখ হাসিনা বেশ কিছু ক্ষেত্রে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ড. গওহর রিজভী ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব জয় শংকর সহ অন্যান্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসসি/সেপ্টেম্বর২৫,২০১৫)