গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয় সদস্যসহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে সদর উপজেলার মাঝিগাতির শিবপুরে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তেলিগাতি গ্রামের মৃত নসু মিয়ার ছেলে খোকন সিকদার (৪৫), তার স্ত্রী চায়না বেগম (৩৮), মেয়ে এ্যানি (১৬), চাঁদনী (৮), খোকন সিকদারের মা কাতেবুন (৬৫), ভাই হাসান সিকদারের ছেলে সাকিব (১৩), অটোরিকশা চালক পার্শ্ববর্তী খানারপাড় গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে স্বপন সরদার (৩৫)। গুরুতর আহত হয়েছেন খোকন সিকদারের অপর মেয়ে ইতি মনি (১৩)।

নিহতের স্বজনরা জানান, খোকন সিকদার খুলনা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি মাঝিগাতি ইউনিয়নের তেলিগাতি গ্রামে আসছিলেন। তারা খুলনা থেকে বাসে এসে গোপালগঞ্জের বেদগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে নামেন। সেখান থেকে একটি অটোরিকশা ভাড়া করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।

পথে শিবপুরে বিপরীত দিক থেকে আসা জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্টিকার সম্বলিত একটি মাইক্রোবাসের সাথে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে সাকিব ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনার পথে চার জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুই জনের মৃত্যু হয়। অপর একজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বজন বাচ্চু সিকদার জানিয়েছেন, খোকন সরদার এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গোপালগঞ্জের তেলিগাতি গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নিয়ামুল হুদা জানান, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে একজন, আনার পথে চার জন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জন মারা গেছেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, নিহত ছয় জন একই পরিবারের সদস্য। নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

(ওএস/এসসি/সেপ্টেম্বর২৬,২০১৫)