নড়াইল প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ঘাঘা গ্রামে দুইপক্ষের সংর্ঘষে গুলিতে ইকবাল সমাদ্দার (২৭) নিহত হয়েছেন।

নিহত ইকবাল কোটাকোল গ্রামের রূপাই সমাদ্দারের ছেলে।

সোমবার ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। অন্তত ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ৬০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং পাঁচ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খান জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক সহসভাপতি হেমায়েত হোসেন হিমুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার সকালে দুইপক্ষের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে হিমু পক্ষের ইকবাল নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন।

আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হেমায়েত হোসেন হিমু অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ খান জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন তাদের ওপর শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এ গুলিতে তার লোকজন হতাহত হন।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬০ রাউন্ড শটগানের গুলি এবং পাঁচ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুঁড়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ কোটাকোল গ্রামের সজল মোল্যা আরজ (৩০), দিদার লস্কর (২৬) ও ঘাঘার সবেদ আলী ফকিরকে (৫০) আটক করেছে।

(টিএআর/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫)