কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত জেলেদের উপর সশস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এতে ছয় জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

সোমবার রাতে কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার পশ্চিমে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ জেলেদের মঙ্গলবার সকালে কুয়াকাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি ঘটলে ফয়সাল (৩০), আহসান আলী (৩২), শাহালম (৪০) ও কাইয়ুম (২৯) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

অপর গুলিবিদ্ধ মন্নান মৃধা (৩০) ও আমির হোসেন (৩৩) বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের শরীর থেকে গুলি বের করা হয়েছে।

হামলা শেষে জলদস্যুরা এফবি মার্জিয়া আক্তার ট্রলারসহ ওই ট্রলারের জেলে নয়া মিয়া, আল-আমিন, আবুল কালাম ও এফবি আলমদিনা ট্রলারের আঃ রব মাঝিকে মুক্তিপনের দাবিতে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ইলিশ ধরা মৌসুম শুরুর সাথে সাথে সাগরে অতর্কিত জলদস্যুদের হামলা ও জেলে অপহরণের ঘটনায় গোটা উপকূলীয় এলাকার জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

গুলিবিদ্ধ জেলেরা জানান, সোমবার সন্ধায় সাগরে জাল ফেলে তারা যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তখন চারটি ট্রলারে করে জলদস্যুরা গুলিবর্ষণ করতে করতে তাদের ট্রলারগুলোতে হামলা করে। জলদস্যুরা নিজেদের দয়াল গ্রুপের সদস্য পরিচয় দিলেও অপহৃত জেলেদের মুক্তিপনের জন্য কোন নম্বর ও টোকেন না দেয়ায় ট্রলার মালিক ও অপহৃত জেলেদের পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, তার ট্রলার এফবি মার্জিয়া আক্তারসহ তিন জেলেকে অপহরন করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা।

ডাকাতির কবল থেকে ফিরে আসা তার ট্রলারের মাঝি পনু মিস্ত্রির বরাত দিয়ে তিনি জানান, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত অন্তত ১৯টি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে কতটি ট্রলার ও জেলে অপহৃত হয়েছে তা জানাতে পারেননি।

কলাপাড়া থানার ওসি মো.আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সাগরে ট্রলারে হামলা খবর শুনে পাথরঘাটা পুলিশ ও কোষ্টগার্ডকে অবহিত করেছেন। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি।

(এমকেআর/এলপিবি/অক্টোবর ১৩, ২০১৫)