কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পুরস্কার ঘোষণা করেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও দলকে ঢেলে সাজাতে কলাপাড়ার ১২ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে।

এই কমিটি গঠন হয়েছে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এবং ত্যাগী নেতারা স্থান পেয়েছে কমিটিতে। কিন্তু এই কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আর্থিক লেনদেন এ কমিটি গঠিত হচ্ছে বলে এক শ্রেণীর দলছুট নেতারা প্রচারণা চালাচ্ছে। এই আর্থিক অনিয়ম ধরিয়ে দিতে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাজী হুমায়ুন সিকদার এ পুরস্কার দেয়ার ঘোষনা দেন।

কলাপাড়ায় বড় ধরনের কোন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি না হলেও হরতাল ও লাগাতার অবরোধ ছাড়া কেন্দ্র ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচী পৌর শহরে পালন করেছে বিএনপি। উপজেলা বিএনপি সভাপতি এবিএম মোশারফ হোসেন এই কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিয়েছে। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দও প্রতিটি কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন।

আগামী বছর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দলের নেতাকর্মীকে একত্রিত করতে নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যেগ নেয়। সম্পন্ন করা হয় ১২ টি ইউনিয়ন ও পৌরশহরের ওয়ার্ড কমিটি। সহযোগী সংগঠনেরও কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু বিএনপির এই কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গত নয় বছর যারা দলের বাইরে থেকে সুবিধা নিয়েছে তারাই এখন এ কুৎসা রটাচ্ছে। গতকাল সকালে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। তিনি বলেন বিএনপিতে কোন দলছুট ও হাইব্রিড নেতা নেই।

কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ নুর বাহাদুর তালুকদার বলেন, রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে গত নয় বছর নেতাকর্মীরা লাঞ্চিত ও হামলার শিকার হয়েছে। তারপরও তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচী ও দল গোছানোর কাজ করছেন। গত ৯ অক্টোবর ধানখালীতে কমিটি গঠন অনুষ্ঠান শেষে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপি নেতা,ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম তালুকদার ও আলতাফ হোসেন মোল্লা আহত হয়েছে। দলে কোন বিভেদ থাকলে গোটা কলাপাড়ায় কমিটি গঠন করতে পারতেন না বলে তিনি জানান।

(এমকেআর/এএস/অক্টোবর ১৪, ২০১৫)