স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৭ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। খোকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে অবৈধভাবে অর্জিত সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, আসামি খোকা ১০ কোটি পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকা ৫৪ পয়সা অসৎ উপায়ে অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। ওই টাকার সমমূল্যের খোকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।

খোকা পলাতক থাকায় তাঁর আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে বা গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার তারিখ থেকে দণ্ডভোগের মেয়াদ ধরা হবে। খোকার বিরুদ্ধে দণ্ড পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ে বলা হয়, দুর্নীতি দমন আইনে ২৬ (২) ধারার অপরাধে আসামি খোকাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২৭ (১) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০০৮ সালের ২ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক শামসুল আলম রমনা থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত করে দুদক ২০০৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। গত বছরের ৩০ অক্টোবর খোকার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত। এই মামলার মোট ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ৪০ জনকে আদালতে উপস্থিত করে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামি খোকার আইনজীবী মহসিন মিয়া বলেন, খোকা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাঁরা আদালতে খোকার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন।

রায়ে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালত থকে বিচারক আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দিলেও খোকা তা পালন করেননি। তিনি সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের মেয়রের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও উল্লিখিত টাকা নিজে দখলে রেখে অপরাধ করেছেন। এ কারণে তাঁর প্রতি নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২০, ২০১৫)