দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার দুর্গাপুরে শোবার ঘরে গলা কেটে দম্পতি হত্যার তিন দিন পর এবার কলমাকান্দায় নিখোঁজের ছয় দিনের মাথার মস্তক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক যুবকের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উপজেলা সদরের পশ্চিম বাজারের ড্রেনপাড় এলাকার ফজর আলী (৩৫) নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলমাকান্দা উপজেলা সদরের পশ্চিম বাজারের একটি চাউলকলের চুল্লির পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।

যুবক হচ্ছেন- উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বাগারপার গ্রামের সুনিল চন্দ্র দাসের ছেলে ভজন চন্দ্র দাস (২৮)।

এর আগে শুক্রবার দশমীর দিন সকাল থেকে দুপুর আড়াইটার মধ্যে যে কোন সময়ে পাশের উপজেলা দুর্গাপুর সদরে নিজের বাসার তিনতলায় শয়ণকক্ষে গলা কেটে ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী অরুণ সাহা ও তার স্ত্রী হেনা রাণীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশীর আহম্মেদ জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধারের পর বস্তাখুলে দেখা যায় লাশের মাথাটি নেই। পরে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা ডোবার কচুরিপানার ভেতর থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরো জানান, বুধবার রাতে উপজেলা সদর লাগোয়া গোজাকুনিয়া গ্রাম থেকে দুর্গাপুজার সপ্তমী পুজা দেখে বাড়ি ফেরার পথে ভজন নিখোঁজ হন।বৃহস্পতিবার ভজনের বাবা সুনিল দাস থানায় নিখোঁজের সাধারন ডায়েরি করেন।

ধারনা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা হত্যার পর ভজনের লাশ ফেলে যায়। ময়নাতদন্তের জন্যে মরদেহ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতকদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে জানিয়ে ওসি বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রামাণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

(এনএস/এএস/অক্টোবর ২৬, ২০১৫)