ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীর পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারায় হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাদের আটক করা হয়।

জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে মাথিয়ারা গ্রামে হিন্দু বাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তাদের হামলায় তুলসি রানী দাস কনিকা (২০) নামে এক নারীর গর্ভে থাকা সন্তান মারা যায়।

বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে নবজাতকটি মারা যাওয়ার পর বিষয়টি ব্যাপক ভাবে আলোচনায় আসে। তবে ওই প্রসূতি এখনও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন ফেনী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ছরোয়ার জাহান।

স্থানীয় বাসিন্দা জহরলাল দাস জানান, লক্ষ্মীপূজার আতশবাজি ফোটোনোর জের ধরে বুধবার মধ্য রাতে মাথিয়ারা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে ইকবালের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক জেলে পাড়ায় হামলা চালায়। এ সময় তারা জেলে পাড়ায় বিভিন্ন ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

তিনি জানান, জেলে পাড়ার লোকজন হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গেলে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জেলেদের আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা সাত মাসের অন্তঃসত্বা তুলসি রানী দাস কনিকার ওপর নির্মম নির্যাতন করে।

এতে কনিকার প্রচুর রক্তপাত হলে বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে মৃত সন্তান প্রসব করেন। এছাড়া হামলাকারীদের অস্ত্রের আঘাতে জহরলাল দাস (৪৫), আলো রানী দাস (২৮), শোভা রানী দাস (৪৫), শুকদেব দাস (১২), পরিমল দাস (৬০), বিকাশসহ (২৪) অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান জহরলাল দাস।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ফেনীর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফেনী মডেল থানাকে নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ শুক্রবার সকালে ওই এলাকাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে আটক করে। এই ঘটনায় জড়িত প্রধান দুই আসামি যুবলীগের সম্রাট ও ইকবালকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক মাহবুব মোরশেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ৩১, ২০১৫)