স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গুপ্ত হত্যা করেছে, এদের লিংক, মুরব্বি, বড় ভাইদের খুঁজে শাস্তি দেবোই দেবো। এছাড়া যারা এসব ঘটাচ্ছে তাদেরও কোনো ছাড় নেই। আমরা যা বলি, আমরা তা করি।

তিনি বলেন, দেশে গুপ্ত হত্যা খুন যাই করুক না কেন বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামায়াত

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে '০৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস' উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

যখনই দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যায় তখনই অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আবার হত্যাকাণ্ড ঘটনো হচ্ছে। এই দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামায়াত। যারাই জড়িত দেশকে অস্থির করতে তাদের কেউই ছাড় পাবেন না। আমরা যা বলি, আমরা তা করি।

তিনি বলেন, দেশে সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, খুনের বিচার হবে। উন্নয়নে কেউ যদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তবে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। শান্তি বিনষ্ট করার জন্য শাস্তি পেতেই হবে। ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেই মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই, আর ষযড়ন্ত্র চলবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতেই গুপ্ত খুন। তাদের বিচার বিনষ্ট করতেই এই কর্মকাণ্ড চলছে দেশে। কারণ জিয়াউর রহমান প্রথমে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। তারপর তার স্ত্রীও (খালেদা জিয়া) তাদের জাতীয় সংসদে জায়গা দেন।

তারা বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন চান না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা চায় না দেশ এগিয়ে যাক। তারা চায় না এদেশের মানুষ পেট ভরে খাক। তারা শুধু চায় এদেশের মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরুক। গুপ্ত হত্যা গুম-খুন যাই করুক না কেন বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। যারা গুপ্ত হত্যা করেছে, এদের লিংক, মুরব্বি, বড় ভাইদের খুঁজে শাস্তি দেবোই দেবো।

বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওনার পেয়ারে পাকিস্তানের পেয়ার তিনি আর ভুলতে পারেন না। এই জন্যই তিনি এসব করে যাচ্ছেন স্বাধীন বাংলাদেশে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ০২, ২০১৫)