মাগুরা প্রতিনিধি :  বাঁশি,কাঁসা ও লাখো করোতালির মধ্য দিয়ে মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীতে অনুষ্ঠিত হলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা। প্রাণ আপ গ্রুপের সহযোগীতায় বিহারী লাল শিকদার নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা বুধবার বিকাল থেকে শুরু করে চলে সন্ধ্যা পর্যন্তু ।  নৌকা বাইচ উপলক্ষে  মধুমতির দুই তীরে ২ লক্ষাধিক মানুষ এ নৌকা বাইচ উপভোগ করেন।  এ বছর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় দুইটি গ্রুপে ৬টি বাইচের দলকে পুরস্কৃত করা হয়। 

সকাল থেকে নৌকা বাইচ উপলক্ষে মধুমতির দুই তীরে বসে বিশাল গ্রামীণ মেলা। মেলায় নাগরদোলা থেকে শুরু করে শিশুদের মন আকৃষ্টের মতো বিভিন্ন ধরণে খেলনাসহ নানান সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসায়ীরা।

দুপুর তিনটার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড: শ্রী বীরেন শিকদার এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ক্রিড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, মাগুরার জেলা প্রশাসক মুহ্ মাহবুবর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।

নৌকা বাইচ দেখতে নদীর দু’ধারে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে। নৌকা বাইচে মাগুরা, যশোর, নড়াইল, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫ টি বাইচে নৌকা অংশ নেয়। বাইচ অনুষ্ঠানে এ গ্রুপে মাগুরা সদর উপজেলার কাপাসহাটির আজিজ মোল্যার নৌকা প্রথম, ঢুসরাইলের আতর মোল্যার নৌকা দ্বিতীয় ও নড়াইলের সোহরাব হোসেনের নৌকা তৃতীয় হয়।
অপরদিকে বি গ্রুপে কালিশংকরপুরের কবির হোসেনের নৌকা প্রথম, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কালু ফকিরের নৌকা দ্বিতীয় ও মাগুরা সদরের বাহরবাগ এলাকার হালিম মোল্যার নৌকা তৃতীয় স্থান অর্জন করে। তাদেরকে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বিরেন শিকদার। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক নৌকার মালিককেই পুরস্কৃত করা হয়। প্রাণ আপের সৌজন্যে এ নৌকা বাইচ ও মেলার আয়োজন করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন- গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি বিভিন্ন খেলাধুলাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে উজ্জীবিত করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলার হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। এ ধরণের নৌকা বাইচের আয়োজনের মধ্য দিয়ে নৌকা বাইচ যেমন বেঁচে থাকবে। তেমনি ভাবে নদী বাঁচাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরী হবে। তিনি প্রতি বছর এ ধরণের আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।



(ডিসি/এসসি/নবেম্বর০৪,২০১৫)