পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: পার্বতীপুরে সরকারী বালু মহাল ইজারা নিয়ে পার্বতীপুর ট্রাক্টর মালিক সমিতি বালু উত্তোলন শুরু করলেও এর চার মাস পর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের স্থানীয় নেতা মজিবর রহমান ক্ষমতার দাপটে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।

বর্তমানে ওই নেতা প্রশাসনকে “ম্যানেজ” করে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক বালু উত্তোলন করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন ইজারাদার প্রতিষ্ঠান পার্বতীপুর ট্রাক্টর মালিক সমিতির সদস্যরা। এদিকে, মুল ইজারাদার এর প্রতিকার চেয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে ধরনা দিয়েও সুরহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব) দপ্তর থেকে এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বড়হরিপুর গ্রামের ছোট যমুনা নদীর বালু মহাল ইজারা দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত পার্বতীপুর ট্রাক্টর মালিক সমিতি দরপত্র দাখিল করে। গত ১ এপ্রিল দরপত্র বাছাইয়ের দিন সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ায় পার্বতীপুর ট্রাক্টর মালিক সমিতি ইজারাদার নির্বাচিত হন। দরপত্রের শর্তানুযায়ী পার্বতীপুর ট্রাক্টর মালিক সমিতির পে সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মশিউর রহমান গত ১২ এপ্রিল দরপত্রে উলেখিত সমুদয় টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন। বৃহস্পতিবার পার্বতীপুর রেলওয়ে পার্কের মিডিয়া কর্ণারে এক সংবাদ সম্মেলনে পার্বতীপুর ট্রাক্টর মালিক সমিতির উপদেষ্টা মশিউর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মাহাবুর রশিদ সংগ্রাম বলেন, বাংলা ১৪২২ সনের ১ বৈশাখ থেকে ওই বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন শুরু করা হয়। প্রায় চার মাস পর চন্ডিপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মজিবর রহমান বলপ্রয়োগ করে আমাদের উচ্ছেদ করে। এরপর থেকে মজিবর রহমানের লোকজন সেখান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। বিষয়টি মৌখিক ভাবে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব)কে অবহিত করা হলেও অদ্যাবধি প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।

এ ব্যাপারে দিনাজপুরের বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব) বলেন, ইজারাদারদের উচিত জেলা প্রশাসকের নিকট তাদের অভিযোগ লিখিত আকারে প্রদান করা।

(এএএম/এলপিবি/নভেম্বর ৭, ২০১৫)