সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালুর দাবিতে ধর্মঘটের দশম দিনে  ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে সোমবার সকাল থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি ও সাতক্ষীরা- কালীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সকাল থেকেই মিছিল-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস। মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য দেন পঞ্চম বর্ষের ছাত্র আলমগীর হোসেন, অরিন আক্তার, গোলাম মোক্তাদি, উদয় শঙ্কর রায়, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হুময়ান কবীর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু হয়নি। ৩০ শয্যা নিয়ে শুধুমাত্র মেডিসিন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল কার্যক্রমের জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালু হওয়া বাধ্যতামূলক। ক্লিনিক্যাল কার্যক্রমে এক্সপার্ট না হলে মানুুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তদের বার বার আশ্বস্ত করা হলেও ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালুর ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আন্দোলনের ১০ দিন পার হতে চললেও কর্তৃপক্ষ কোন উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

তারা আরো বলেন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালু না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস, আইটেম, কার্ড, টার্ম ও ওয়ার্ডসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এদিকে, ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।

পরে সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে এসে সামনে কালীগঞ্জ- সাতক্ষীরা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে তারা রাস্তার উপর শুয়ে পড়ে সড়ক অবোরধ করে। পুলিশ এসে তাদের আন্দোলনের প্রতি সজানুভুতি জানানোর পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অমল কুমার বিশ্বাস জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না পাওয়া গেলে তাদের কিছু করার নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ২৫০ শয্যা হাসপাতাল উদ্বোধন করেন। এর প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ২৫০ শয্যা হাসপাতাল।

(আরকে/এএস/নভেম্বর ০৯, ২০১৫)