বান্দরবান প্রতিনিধি : ছোঁয়াইং উত্তোলনের মধ্যদিয়ে বান্দরবানে আজ শেষ হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব। বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের কয়েক’শ ভিক্ষু আজ শুক্রবার সকালে বৌদ্ধ অধ্যুষিত পল্লী গুলোতে পায়ে হেঁটে ছোঁয়াইং উত্তোলন করেন। এ সময় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ লাইনে দাড়িয়ে ভিক্ষুদের পিন্ড দান করেন।

প্রবারনা পূর্ণিমা থেকে শুরু করে কার্তিক মাসের পূর্ণীমা তিথি পর্যন্ত মাসব্যাপী প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে পৃথক পৃথক ভাবে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। চীবর দানের পর এই ছোঁয়াইং উত্তোলনের অনুষ্ঠান করা হয়। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভিক্ষুদের ছোঁয়াইং উত্তোলনের এই রীতিটি একমাত্র বান্দরবানে প্রচলিত রয়েছে।

পুর্ণবর্তী নারী বিশাখা সুর্যাস্তের পর থেকে শুরু করে পরের দিন সুর্যাস্তের আগে তুলা থেকে চরকায় সুতা তৈরী করে কাপড় বুনে সেই কাপড় রং করার পর গৌতম বুদ্ধকে দান করেছিলেন। কঠোর সাধনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে তৈরী করা রং কাপড়কে কঠিন চীবর বলা হয়।

আড়াই হাজার বছর আগের সেই পুরানো রীতিকে ধরে রেখে বান্দরবানের বৌদ্ধ নারীরা দলগতভাবে রাত জেগে কঠোর পরিশ্রম করে কাপড় বুনে তা পরের দিন বিকেলে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করে থাকেন। পুণ্য অর্জন ও পরকালে সুখ লাভের আশায় বৌদ্ধ নারীরা এই কঠোর সাধনায় মগ্ন হন।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে কাপড় বুনন অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। এ সময় ধমীয় গুরুসহ জেলা ও দায়েরা জজ শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

(এএফবি/এএস/নভেম্বর ২৭, ২০১৫)