মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি : মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৫তম জন্মদিন ১২ ডিসেম্বর শনিবার।

এ উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভাসহ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সারা জীবন কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। মাওলানা ভাসানীর ১৩৫তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।

মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ডিসেম্বর ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী শরাফত আলী খান। মক্তব হতে শিক্ষা গ্রহণ করে কিছুদিন মক্তবেই শিক্ষকতা করেন। ১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসিরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম যান।

১৯০৩ সালে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ইসালামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭-এ দেওবন্দ যান। দুই বছর সেখানে অধ্যয়ন করে আসামে ফিরে আসেন। ১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ময়মনসিংহ সফরে গেলে তার ভাষণ শুনে ভাসানী অনুপ্রাণিত হন। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে দশ মাস কারাভোগ করেন। ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন স্বরাজ্য পার্টি গঠন করলে ভাসানী সেই দল সংগঠিত করার ব্যাপারে ভূমিকা রাখেন।

১৯২৬-এ আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের স‍ূত্রপাত ঘটান। ১৯২৯-এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। এখান থেকে তার নাম রাখা হয় “ভাসানীর মাওলানা”। এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়।

১৯৭৬ খৃস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই দেশ বরেণ্য নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়।

(ওএস/এইচআর/ডিসেম্বর ১২, ২০১৫)