মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা শহরের ভায়নার মোড়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধো বিজয়স্তম্ভে ৪০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকায় ২ রাজাকার ও ৫ অমুক্তিযোদ্ধার নাম বহাল রেখেই মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা ৪৪তম বিজয় বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছেন।

বছরের পর বছর স্মৃতীস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় রাজাকারের নাম বহাল থাকায় এবং এভাবেই বিজয় দিবস উদযাপন করায় জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্রমেই ক্ষোভের মাত্রা বেড়ে চলছে।

২০০৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য কাজী সালিমূল হক কামাল শহরের ভায়নার মোড়ে বিজয় স্তম্ভের উদ্বোধন করেন। সেখানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সঙ্গে উপজেলা সদরের আমিন উদ্দিন ও শেখ খাতের আলী নামের দুই রাজাকার এবং শালিখা উপজেলার মমিন উদ্দিন মোল্যা, আব্দুর রউফ, আকরাম হোসেন, আঃ হাকিম ও জাফর আহম্মদ নামে ৫ অমুক্তিযোদ্ধার নাম সংযোজন করা হয়।

ভায়নার মোড়ে বিজয় স্তম্ভের উদ্বোধন অনুষ্ঠান জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা বয়কট করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা কালো কালি দিয়ে এ ২ রাজাকারের নাম ঢেকে দেয়।

অন্যদিকে শালিখা উপজেলার যুদ্ধোকালীন কমান্ডার শামছুর রহমান বর্তমান উপজেলা কমান্ডার আবু বক্কার মাষ্টার, মক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক সরদার ফারুক আহমদ সহ আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা জানান শালিখায় কোন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নেই। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় ৭ বছর থাকার পরও বিজয় স্তম্ভ থেকে রাজাকার ও অমুক্তিযোদ্ধার নাম অপসারিত না হওয়ায় মাগুরার মুক্তিযোদ্ধা ও নাগরিক সমাজ ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন এ সময়ে রাজাকার ও অমুক্তিযোদ্ধার নাম অপসারন করা না গেলে আর কবে তা করা যাবে।

জেলা কমান্ডার মোল্যা নবূয়ত আলী জানান ২ রাজাকারের নাম বাদ দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধো মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। শালিখা উপজেলা কমান্ডার আবু বক্কার মাষ্টার বলেন ৫ জন অমুক্তিযোদ্ধার নাম বাতিলের জন্য প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

স্মৃতী স্তম্ভে ২ জন রাজাকার ও ৫ জন অমুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মুহ. মাহবুবর রহমান বলেন এ বিষয় আমি কিছুই অবগত নয়। আমাকে কখনওই কেউ কিছুই জানায়নি। এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকেও আমাকে জানানো হয়নি।

(ডিসি/এএস/ডিসেম্বর ১২, ২০১৫)