লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : জমি কেনার জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে নড়াইলের লোহাগড়ায় এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।

নিহত টুম্পার মা শাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কোটাকোল ইউপি’র মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের আছর মুন্সি’র মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলে রবিউল মুন্সি (৩৫)’র সাথে তিন বছর পূর্বে একই ইউপি’র তেলকাড়া গ্রামের মুনসুর শেখের মেয়ে রহিমা আক্তার টুম্পা (২২)’র বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রাব্বি মুন্সি নামে দু’বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রবিউল মুন্সি মালয়েশিয়া থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্ত্রী রহিমা আক্তার টুম্পার কাছে জমি কেনা বাবদ ২ লক্ষ টাকা দাবি করে।

টুম্পাসহ তার পরিবার ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে টুম্পার শ্বশুর আছর মুন্সি, শ্বাশুড়ি রুবি বেগম, দেবর কোরবান, সবুর, হুমাউন, ননদ সাবিনা পরস্পর যোগসাজগে টুম্পার ওপর মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন শুরু করে। এর জের ধরে গত রোববার রাতে টুম্পার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় দড়ি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে সবাই পালিয়ে গেছে।

সোমবার সকালে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত টুম্পার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত টুম্পার বোন মুন্না আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে স্বামী রবিউলের নির্দেশে টুম্পার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, দেবর, ননদ টাকার জন্য তার ওপর নানা ধরনের নির্যাতন করে আসছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে কয়েক দফায় শালিসও হয়েছে। টাকা না পেয়ে টুম্পাকে তারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে’।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ‘নিহত টুম্পার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে’।

(আরএম/এএস/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫)