কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :পর্নোগ্রাফির ঘটনায় কুষ্টিয়ার বহুল আলোচিত পান্না মাস্টারকে দুই মামলায় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে আড়াই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম মাহমুদা খাতুন এ রায় দেন। মামলায় অপর তিন আসামি প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল, মনোয়ার হোসেন মনো ও আওলাদ হোসেন দুলালকে বেকসুর খালাশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের সরকারি পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি এএসএম আসাদুজ্জামান মামুন জানান, কুষ্টিয়া শহরতলির আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হেলাল উদ্দিন ওরফে পান্না মাস্টার একই বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর নামে ব্লাকমেইলিং করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে। একই সাথে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে নিজের ল্যাপটপে সংরক্ষণ করে পান্না মাস্টার। পরে এসব ভিডিও এর ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ছাত্রীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল পান্না মাস্টার।

তিনি জানান, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে কয়েকজন ছাত্রী বিষয়টি বাড়িতে অভিভাবকদের জানিয়ে দিলে গোমর ফাঁস হয়ে যায়। এরপর বিষয়টি গোটা কুষ্টিয়ায় ঝড় তোলে। পান্না মাস্টারের ল্যাপটপে সংরক্ষিত এসব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মুখে পুলিশ পান্না মাস্টারের ল্যাপটপ জব্দ করে। পরে পুলিশ বাদি হয়ে ২০১৩ সালের ৭ জুলাই কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় হেলাল উদ্দিন ওরফে পান্না মাস্টারসহ ৫জনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল, মনিরুল ইসলাম মনো, আওলাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম সজল।

আসাদুজ্জামান মামুন জানান, দীর্ঘদিন মামলার শুনানি চলার পর বৃহস্পতিবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পান্না মাস্টারকে দুটি ধারায় ৫ বছর করে জেল ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা করা হয়। আনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের জেল দিয়েছেন আদালত

(ওএস/এস/ডিসেম্বর১৭,২০১৫)