স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা দিনে শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ করার উদ্যোগ নিলেও একদিনে উৎসবের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

একইসঙ্গে বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের কাগজের মান খারাপ হলে সংশ্লিষ্টদের জরিমানা গুনতে হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিপুল সংখ্যক বই ছাপা হয়, আলাদা করে দেখা সম্ভব হয় না। মাধ্যমিকের শতভাগ বই পৌঁছে গেছে। প্রাথমিকের ছাপা দেরিতে শুরু হওয়ায় আজ (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৮০ শতাংশ বই চলে গেছে। বাকিগুলোর মধ্যে ৫ শতাংশ রিজার্ভ থাকে। অবশিষ্ট বই সময়মতো পৌঁছে দিতে পারবো, এতে সন্দেহ নেই।

কাগজের মান খারাপ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগে ১০ শতাংশ জামানত ছিলো, এখন ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তদন্ত করবো, মান খারাপ হলে সেই অনুযায়ী জরিমানা করা হবে। মানসম্পন্ন না হলে জরিমানা করবো।

মন্ত্রী জানান, আগামী বছরের প্রথম দিনে বই বিতরণের প্রস্তুতি আছে, বিতরণের বই চলেও গেছে। বিশ্ব ব্যাংকের কারণে প্রাথমিকের বই ছাপাতে দেরিতে শুরু হয়।

‘নিশ্চয়তা দিতে পারি বছরের শুরুর দিন বই দিতে পারবো। স্কুল, মাদ্রাসা, টেকনিক্যাল, প্রি-প্রাইমারি- সব প্রতিষ্ঠান বই পাবে।’

আগামী ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের কথা। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে গভঃ ল্যাবরেটরি স্কুলে বই বিতরণের কথা জানায়।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এক দিনই উৎসব করা উচিত। উৎসব দু’দিন করা যেতে পারে না। আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে নিয়েছি, একদিনই করবো।

২০১০ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে উৎসব করে বই বিতরণ করে আসছে সরকার।

সচিবালয় গণমাধ্যমে কেন্দ্রে সংগঠনের সভাপতি শ্যামল সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


(টিএআর/এস/ডিসেম্বর২২,২০১৫)