স্টাফ রিপোর্টার : স্কাইপি সংলাপে বিচারপতিদের সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়ায় সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন পুনর্নির্ধারণ করেন।

ট্রাইব্যুনালে ব্যারিস্টার ফখরুল নিজেই শুনানি করেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।

এ নিয়ে ব্যারিস্টার ফখরুলের আদালত অবমাননার বিষয়ে আদেশের দিন বেশ কয়েকবার পেছানো হল। এর আগে চলতি বছরের ৭ মার্চ ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ট্রাইব্যুলালের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি সংলাপ নিয়ে বিচারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননায় শোকজ নোটিশ জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে রুলও জারি করা হয়। রুলে ট্রাইব্যুনালের বিচারকি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে মর্মে জানতে চাওয়া হয়।

ব্যারিস্টার ফখরুল একটি আবেদনে ট্রাইব্যুনাল-১ এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের সঙ্গে অন্য সব বিচারপতিরা যুক্ত আছেন কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে শোকজ করে নোটিশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রবাসী আইন বিশেষজ্ঞ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি কথোপকথন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাসহ বেশ কিছু পত্রিকায় প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় তিনি ট্রাইব্যুনাল থেকে পদত্যাগ করেন।

ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় গত বছরের ২০ নভেম্বর থেকে আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। কিছু দিন আগে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।

(ওএস/এইচআর/ডিসেম্বর ২৩,২০১৫)