বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সন্নিহিত সোনাতলা গ্রামে ঢুকে পড়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা ফরেস্ট ক্যাম্প সংলগ্ন বন থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার বগী-শরণখোলা ভারণী খাল পার হয়ে সোনাতলা গ্রামে চলে আসে। এর পর থেকে ওই এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৭টা) বাঘটি এখনও ওই এলাকায় অবস্থান করছে বলে সুন্দরবন বিভাগ নিশ্চিত করেছে।

সুন্দরবন বিভাগ ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহসাপতিবার গভীর রাত থেকে এলাকার মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ও কাজকর্ম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকেই বাঘটিকে বনে ফেরৎ পাঠানোর জন্য বনরক্ষী, টাইগা টিমের সদস্যসহ এলাকার শত শত মানুষ প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন। সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ্য থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে শতর্ক থাকার আহবান করা হচ্ছে। দিনের বেলা বাঘটি মানুষের ভয়ে গ্রামের ঝোপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সাউথখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা আবু রাজ্জাক আকন জানান, বৃহসাপতিবার রাত ২টার দিকে তজু মিয়ার গেট সংলগ্ন নদীতে খলিল জমাদ্দার নামের এক জেলে মাছ ধরছিলেন। এমন সময় বাঘটি নদী সাঁতরে গ্রামে ঢুকে পড়ে। তিনিই প্রথম বাঘ আসার খবর এলাকাবসাীকে জানান। ওই রাতে বাঘটি গ্রামের গণি জমাদ্দারের বাগানের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে শুয়ে ছিল। দিনের বেলা বিভিন্ন জায়গায় বাঘটির পায়ের ছাপ দেখা গেছে।

সুন্দরবনের ভোলা ফরেস্ট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রাত পৌনে ৮টার সময় জানান, খবর পেয়ে বৃহম্পতিবার ভোর থেকে তারা ওই এলাকা অবস্থান করছেন। এখনো শত শত মানুষ গ্রাম পাহারা দিচ্ছে।

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, তেড়াবেকা, ভোলা ও দাসের ভারাণী ক্যাম্পের বনরক্ষীদের নিজ নিজ এলাকা নজরদারীতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বনবিভাগ, টাইগার টিম ও কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসহ কয়েকশ’ মানুষ এখন ওই এলাকায় অবস্থান করছে। এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করে মানুষকে শতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। বাঘটিকে যে কোনো ভাবে হোক সুন্দরবনে ফেরৎ পাঠানো হবে।



(একে/এস/ডিসেম্বর২৪,২০১৫)