কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : প্রায় এক বছর আগে মৃত ব্যক্তি এখন কাউন্সিলর প্রার্থী। পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শেখর চন্দ্র মিত্র (সেবক) এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নিখিল চন্দ্র হাওলাদার।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা থাকলেও তিনি হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন। মৃত ব্যক্তি কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন শনিবার এ অভিযোগ দাখিলের খবর জানাজানি হলে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগে জানা যায়, কাউন্সিলর প্রার্থী শেখর চন্দ্র মিত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা’র ৪র্থ যুগ্ম জেলা আদালতে একটি মামলা রয়েছে (মানী মোকদ্দমা নং-৩/২০১৫)। এ মামলার ৫ নং আসামী তিনি। মামলার বাদি ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মামলায় বলা হয়েছে শেখর মিত্র পটুয়াখালী কলাপাড়ার মহিপুর অফিসে জোনাল ম্যানেজার থাকাকালীন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় ১ নং আসামী তার খালাতো ভাই ক্যাশিয়ার অসীম চন্দ্র হাওলাদারসহ অন্য চার আসামী কোম্পানী ১০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ঘটনায় শেখর মিত্রকে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু ৮ ডিসেম্বর লিগ্যাল নোটিশের গরজারীতে লিগ্যাল নোটিশের জবাবে “প্রাপক মারা গিয়াছে” মর্মে মন্তব্যসহ ফেরত আসে।

এ ব্যাপারে নিখিল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, শেখর মিত্রের বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তিনি হলফনামার ৩ (ক) ও ৩ (খ) ঘরে উল্লেখ করেননি। এ তথ্য জানিয়ে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারনহ বিভিন্ন দপ্তরে তার প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন করেছেন।

কাউন্সিলর প্রার্থী শেখর চন্দ্র মিত্র সেবক বলেন, তিনি আইনজীবিদের সাথে আলাপ করেই এই মামলার তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করেন নি। এ তথ্য না দিলেও তার সমস্যা হবে না। আর তিনি মারা গিয়াছেন বলে লিগ্যাল নোটিশের জবাব পাঠিয়েছেন এ বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন,পরে আবার তিনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন।

(এমকেআর/এএস/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫)