বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবান জেলা বিএনপি’র ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান মিটনকে দল থেকে বহিস্কার এবং সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও পৌর বিএনপি’র সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরীকে শো-কজ করার প্রতিবাদে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী জাবেদ রেজার বিরুদ্ধে শহরে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দরা।

রবিবার বিকেল ৪টায় ঝুাড় মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্ত মঞ্চে এসে সমাপ্ত হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ বিএনপি’র একাংশের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, পৌর বিএনপি’র সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মহতুল হোসেন যত্ন, যুব বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান মিটন, ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে জাবেদ রেজা নির্বাচন করছেন। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে তার পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন। কিন্তু ভুয়া অজুহাত দেখিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে বিএনপি’র ২ নেতাকে বহিস্কার ও সিনিয়র ২ নেতাকে শোকজ করা গঠনতন্ত্র বিরোধী।

বক্তারা আরো বলেন, জাবেদ রেজা বিএনপি’র দলীয় কোন প্রার্থী নয়। কেন্দ্রীয় কিছু নেতাকে হাত করে মনোনয়ন পেয়েছে। তিনি একজন দুর্নীতিবাজ মেয়র। গত ৫ বছরে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে যার প্রমান এখন মাঠে ঘাটে। এ ধরনের কালো তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের অবমাননা করেছেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা, মেয়র প্রার্থী জাবেদ রেজাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানান।

মেয়র প্রার্থী জাবেদ রেজার পক্ষে গণসংযোগে সহযোগিতা না করার অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে জাহাঙ্গীর আলম ও মশিউর রহমান মিটনকে বহিস্কার করেন। গত শনিবার গভীর রাতে এই বহিস্কারাদেশ বান্দরবান পৌছার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিএনপি’র একাংশের নেতাকর্মীরা।

নির্বাচনের মাত্র ২দিন আগে বিএনপি প্রার্থী জাবেদ রেজার বিরুদ্ধে গণরোষ সৃষ্টি হওয়ায় নির্বাচনে তার অবস্থান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোটাররা। তাদের মতে বিএনপি’র বিদ্রোহ প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে আসায় বিএনপি ভক্ত ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ফলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে আগামী পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে। বিএনপি অধ্যুষিত অনেক এলাকায় হামলার আতংকও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্তকাবস্থায় রয়েছে বলে জানান ওসি রফিক উল্লাহ।

(এফএবি/এএস/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫)