বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার সদরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানকে (৫০) গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে আহত অপর দুই কর্মীসহ তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। এর আগে নির্বাচনের দিন সকালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাতের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে বলে জানা গেছে।

মেডিক্যাল সূত্র জানায়, আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে কামরুল হাসান, তার দুই কর্মী নয়ন (৩০) ও সুখদেবকে (২৮) হাসপাতালে আনা হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়রা গুলির চিহ্ন রয়েছে। কামরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা বলছেন, কামরুলের মাথায় এখনও গুলি আছে। এ কারণে তাকে দ্রুত অপারেশন করতে হবে।

হাসপাতালে আহত নয়ন এই প্রতিবেদককে জানান, ৩০ ডিসেম্বর সকালে বরগুনা সদর সরকারি কলেজ কেন্দ্রের সামনে তাদের ওপর হামলা করে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদতের লোকজন। এ সময় তারাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলিতে কামরুলসহ আরও অনেকেই আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে রবগুনা সদর হাপসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কামরুলসহ তিনজনকে ঢাকায় আনা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার বিজয় বসাকের বরাত দিয়ে আমাদের বরগুনা প্রতিনিধি দোলন মিত্র জানান, উভয়পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ফাঁকা গুলি করে। পুলিশ কাউকে উদ্দেশ্য করে গুলি করেনি।

এদিকে এই ঘটনায় পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

(ওএস/এইচআর/জানুয়ারি ০১, ২০১৬)