আল ফয়সাল বিকাশ, বান্দরবান :পার্বত্য বান্দরবানে আনুষ্ঠানিক ভাবে বই বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।

শুক্রবার সকাল ১১টায় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বই বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজর দীলিপ রায়, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশিদ আমিন, সদস্য লক্ষি পদ দাশসহ পদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরাবৃন্দ।

জেলা প্রাশমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের জানান, চলতি বছর বান্দরবান ৭ উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৬৭ বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৬শত ৫৯ শিক্ষার্থীর মাঝে ৫ লাখ ২ হাজার ৭৪৭টি বই বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে চাহিদার ৬০ শতাংশ বই বান্দরবানের ৭ উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। বাকী ৪০ শতাংশ বই পথের মধ্যে রয়েছে। এই সপ্তাহেই প্রতিটি বিদ্যালয়ে নতুন বই পৌছে যাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

এদিকে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে একই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের ৬ ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের হাতেও নতুন বই তুলে দেয়া হয়। শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা স্বপন জানান, মাধ্যমিক স্তরের ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৫ বই চাহিদা ছিল। সেই অনুযায়ী বই সরবরাহ করেছে শিক্ষা দপ্তর থেকে। বিদ্যালয়ের চাহিদা মোতাবেক ৪ লাখ ৭৭ হাজার ১৭০টি নতুন বই ইতিমধ্যে ৭ উপজেলার ৬৫টি নি¤œ ও উচ্চ মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে পৌছানো হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের আরো প্রায় ১২ হাজারের অধিক অতিরিক্ত বই মজুদ রয়েছে।

বীর বাহাদুর জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সারাদেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন। পার্বত্য জেলা গুলোতেই সঠিক সময়ে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে চলে যাচ্ছে। শিক্ষিত জাতি মানেই উন্নত দেশ। বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাই জাতিকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে শিক্ষকদের মেধা ও শ্রমের পাশাপাশি অভিবাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে নিয়নিত যাচ্ছে কি না, বিদ্যালয়ের পাঠদান কিভাবে হচ্ছে সেদিকে অভিবাবকদের নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার জন্য যেখানে যা করতে হয়, যা প্রয়োজন তাই করা হবে।

এদিকে জেলা শহরের বেশ কয়েকটি স্কুল ঘরে দেখা গেছে, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা বই পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছে। শিশু শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে নিয়ে আনন্দে ও উৎফুল্ল চিত্তে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। শিশুরা সারাদিন বই উৎসবে মেতে উঠেন।




(এএফবি/এস/জানুয়ারি০১,২০১৫)