বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস ও ছাত্রলীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালী, আলোচনা সভা ও নব নির্বাচিত ২ পৌর মেয়র কে সংর্বধনা দেয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় রাজার মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ ও আওয়ামীলীগের সহস্রাধিক নেতাকর্মী পৃথক ব্যানার নিয়ে র‌্যালীতে অংশ নেয়। র‌্যালীটি শহর প্রদক্ষিন করে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে গিয়ে সমাপ্ত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চ চত্তরে আলোচনা সভা এবং নব নির্বাচিত ২ মেয়র ও কাউন্সিলরদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।

জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নব নির্বাচিত মেয়র মোঃ ইসলাম বেবী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লক্ষি পদ দাশ, আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোঃ ইকবাল করিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদুর রহমান চৌধুরী রাশেদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার সোহাগসহ আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, ছাত্রলীগ নতুন কোন ছাত্র সংগঠন নয়। যার জন্ম ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত আন্দোলন-সংগ্রাম পেরিয়ে ছাত্রদের শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির মধ্যে বিদ্ধমান রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ ধরে রেখে ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বক্তরা আরো বলেন, বান্দরবান শান্তি ও সম্প্রীতির জায়গা এখানে কেউ সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাইলে ছাত্রলীগ তা প্রতিহত করবে। দীর্ঘদিন ধরে অগণতান্ত্রিক চর্চা এ দেশের মানুষকে দাবিয়ে রেখেছিল।

আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃত গণতন্ত্রের র্চ্চা করতে পারছে সাধারণ মানুষ। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর মানুষের ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র সমুন্নত করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। যারা গণতন্ত্র রক্ষার দিবসকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস বলছে তারা অগণতন্ত্র র্চ্চার হীন মন মানষিকতার মানুষ। এ ব্যাপারে বক্তারা সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন।

এদিকে আলোচনা সভা শুরুর আগে বান্দরবান পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র ইসলাম বেবী এবং লামা পৌর সভার নব নির্বাচিত মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলামকে জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় নব নির্বাচিত মেয়রদেরকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।

এ ছাড়াও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে পৃথক ভাবে কেক কাটা, র‌্যালী ও সভা-সমাবেশের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। সোমবার লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন নব নির্বাচিত মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম। এতে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

(এএফবি/এএস/জানুয়ারি ০৫, ২০১৬)