নওগাঁ প্রতিনিধি : ঢাকার মীরপুর ক্যামব্রিয়ান কলেজের ছাত্র জাহিদ হাসান নাঈমের লাশ দীর্ঘ ৫ মাস ৭ দিন পর ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁর কবর থেকে উত্তোলন করা হলো।

বৃহষ্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলামের উপস্থিতিতে নওগাঁ কেন্দ্রীয় গোরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় ঢাকার সিআইডি অফিসার আজাদ রহমান, নওগাঁ সদর থানার এসআই আফজাল হোসেন ও নাইমের পিতা আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।

জাহিদ হাসান নাঈমের বাবা আব্দুল লতিফ মন্ডল জানিয়েছেন, জাহিদ হাসান নাঈম ঢাকার মীরপুর ক্যামব্রিয়ান কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করতো এবং পল্লবী এলাকায় অবস্থিত ক্যামব্রিয়ান কলেজ ছাত্রাবাসে থাকতো। গত বছর ৩১ জুলাই নিজ শয়ন কক্ষ থেকে জাহিদের লাশ উদ্ধার করে পল্লবী থানা পুলিশ।

সে সময় ঘটনাটিকে আত্মহত্যা দাবী করে পুলিশ। এরপর ঘটনার মাত্র ১ মাসের মাথায় পোষ্ট মর্টেম রিপোর্টে এটিকে অপমৃত্যু দাবি করে মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পল্লবী থানা পুলিশ। কিন্তু ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে গত ৮ অক্টোবর চুড়ান্ত প্রতিবেদনের বিপক্ষে আদালতে নারাজী পিটিশন দাখিল করা হয়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি অফিসার আজাদ রহমান বলেন, চুড়ান্ত প্রতিবেদনে না রাজি দেয়ায় উচ্চ আদালত মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে পুনঃময়না তদন্তের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে নওগাঁ কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তার কবর থেকে লাশটি উত্তোলন করে পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে সত্যিকারের ঘটনা উন্মোচিত হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, পল্লবী থানার একটি মামলায় গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমের লাশ উত্তোলনের জন্য নওগাঁ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনের পর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(বিএম/এএস/জানুয়ারি ০৭, ২০১৬)