বগুড়া প্রতিনিধি : দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) উদ্দেশ্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হুঁশিয়ার হয়ে যান, সাবধান হয়ে যান, অনেক তামাশা করেছেন, অনেক ইয়ার্কি করেছেন। আর কোনো তামাশা করবেন না। তাঁর অভিযোগ, দুদককে দিয়ে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানের মাধ্যমে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা দুদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুদক একটি বিষধর সাপ। এর একদিকে আছে বিষ, অন্যদিকে নির্লজ্জ ক্ষমা। বিষাক্ত দিক দিয়ে দুদক সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে বিএনপির হাজার হাজার নিরীহ নেতা-কর্মীকে দংশন করছে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের জেলে পাঠাচ্ছে। আরেক দিকে সরকারের নির্দেশে বিষহীন লেজ দিয়ে পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজদের ক্ষমা করে দিচ্ছে। উদারতা দেখাচ্ছে।

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘দুদকের এই নির্লজ্জ উদারতায় হল-মার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত সরকারের মন্ত্রী, রাঘববোয়ালেরা পার পেয়ে গেছেন। সরকারি দলের সাড়ে সাত হাজার দুর্নীতিবাজ নেতার অপকর্ম ধুয়ে মুছে ছাপ করে দিয়েছে এই মেরুদণ্ডহীন দুমুখো দুদক।’

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ ফখরুদ্দীন সরকার দুই বছর ক্ষমতায় ছিল, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। অবৈধ কোনো সম্পদের অস্তিত্ব পায়নি। তারেক রহমানের কোনো অবৈধ সম্পদ থাকলে আওয়ামী লীগ এত দিন বসে থাকত না। এত দিন পর দুদককে দিয়ে তারেক রহমানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এটা বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের নতুন ষড়যন্ত্র।

বক্তব্যে পৌরসভা নির্বাচনে আবারও কারচুপির অভিযোগ করেন রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহাবুবুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ০৮, ২০১৬)