বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দোছড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)‘র মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় নি। বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক মিজানের লাশ আজ শুক্রবার বিকেলে ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকায় বাংলাদেশের পক্ষে সাদা পতাকা নিয়ে বৈঠকের চেষ্টা করা হয়।

বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী সাড়া না দিয়ে উল্টো বিজিবিকে লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এসময় বিজিবি’র রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহম্মদ আলী ও কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল ফরিদ সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন।
ল্যান্স নায়েক মিজানের লাশ ফেরৎ না পেয়ে বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিরাপদ স্থানে ফিরে আসলেও বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্ত এলাকার বিজিবি’র বিওপি ক্যাম্প গুলো শর্তকাবস্থায় রাখা হয়েছে বলে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল শফিকুর রহমান।
এদিকে সীমান্তে বসবাসরত স্থানীয় লোকজন জানান, মায়ানমার সীমান্তে সে দেশের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সাথে সেনাবাহিনীও একত্রিত হয়ে গোলাগুলি চালাচ্ছে। এতে স্থানীয় লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের ৫২ নং পিলারের এলাকায় বিজিবি’র নিয়মিত টহল চলাকালে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) বাংলাদেশের বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন শুরু করে। এ সময় মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি’র গুলিতে বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য ল্যান্স নায়েক মিজান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধ আহত বিজিবি সদস্যকে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেই থেকে নিখোজ হয় ল্যান্স নায়েক মিজান। স্থানীয়রা মিজানের নিখোজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিজিবি মুখ খুলেনি।
এদিকে বিজিবি সদস্য ল্যান্স নায়েক মিজানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
(এএফবি/এএস/মে ৩০, ২০১৪)