নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ শহরে একটি মহল মোবাইল ফোনে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে ব্যবসায়ীদের সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। ইতোমধ্যেই কোন কোন ব্যবসায়ী জীবনের ভয়ে গোপনে ওই সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

তবে প্রাণের ভয়ে তারা মুখ খুলতে চাইছেনা। গত এক মাস ধরে অজ্ঞাত ওই চাঁদাবাজমহল শহরের সোনার পট্টির বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে কখনো প্রাণ নাশের হুমকি, কখনো সন্তানদের অপহরনের হুমকি, কখনো সোনার পট্টির সকল সোনার দোকানে বড়ধরনের ডাকাতি ও লুটপাটের হুমকি এমন কি বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতি (বাজুস) নওগাঁ জেলা শাখার কার্যালয় উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে নীরব চাঁদাবাজী চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শহর জুড়ে ব্যবসায়ী মহলে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

বাজুস নওগাঁ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ রইচ উদ্দিন জানান, গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইল ফোন থেকে সোনারপট্টির ‘স্বর্ণমহল’ সোনার দোকানে ফোন করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সেই চাঁদার টাকা এবি ব্যাংক, নওগাঁ শাখার জাহাঙ্গীর আলম, ৪২০৩৩৭০০৮৫ হিসাব নম্বরে জরুরী ভিত্তিতে জমা করার কথা জানায়।

তা না হলে দোকান লুটসহ মালিককে হত্যার হুমকি দেয়। এছাড়া পট্টির নিউ খাজা জুয়েলার্সে গত একমাসে অন্তত ৫বার উল্লেখিত ওই একই নম্বর থেকে ফোন করে বলে, সোনার পট্টির সব সোনার দোকানে বড় ধরনের ডাকাতি ও লুটপাটের প্রস্তুতি চলছে। কবে কখন ডাকাতি হবে তা পরে জানাব।

এই ডাকাতির পরিকল্পনা করছে সাইফুল, রতন, তুহিন ও বিটল। এই ডাকাতি ও লুটপাট থেকে বাঁচতে গেলে স্বত্বর এবি ব্যাংকের ৪২০৩৩৭০০৮৫ নং হিসাবে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও। নইলে রক্ষা নেই। শুধু তাই নয়, চাঁদার টাকা না দিলে জুয়েলারী সমিতি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। এধরনের চাঁদা দাবি পট্টির অন্যান্য দোকানেও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিষয়টি ব্যবসায়ী মহলে যেমন আতংক ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি শহর জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নওগাঁ সদর থানার ওসি ও পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে বলে সমিতি থেকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের আতংকিত না হবারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রশাসন ও সমিতি থেকে।

(বিএম/এএস/জানুয়ারি ১২, ২০১৬)