গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কবি জসিম উদ্দিনের “নকশি কাথার মাঠ” অবলম্বনে গীতি-নৃত্য-নাট্যানুষ্ঠান। পৌষ উৎসব পালন উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গোপালগঞ্জ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান।

গোপালগঞ্জ জেলা উদীচী পৌষ উৎসব পালন উপলক্ষে আয়োজন করে পিঠা উৎসব আর সেই সাথে “নকশি কাথার মাঠ” অবলম্বনে গীতি-নৃত্য-নাট্য অনুুষ্ঠানের।

এক সময় গোপালগঞ্জের গ্রাম বা শহরে উদযাপিত হতো পৌষ উৎসব। কালের আবর্তে গ্রামের এসব ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন আর মানুষ আগের মতো বাঙ্গালি সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য অনুষ্ঠানে তেমন একটা আগ্রহ দেখায় না। পুরাতন কৃষ্টিকে ধরে রাখতে এ ধরনের একটি গীতি-নৃত্য-নাট্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে গোপালগঞ্জ জেলা উদীচী।

অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী ও সাধারন দর্শক শ্রোতা।

দর্শক-শ্রোতারাও অনুষ্ঠানটি দেখেছেন আগ্রহ ভরে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গ্রামের যে হারানো ঐতিহ্য রয়েছে তা ধরে রাখার চেষ্টাকে তারা সাধুবাদ জানান।
এ গীতি-নৃত্য-নাট্যানুষ্ঠানের প্রধান চরিত্রে যে দু’জন অভিনয় করেছেন তারা কালজয়ী উপন্যাস “নকশি কাথার মাঠ”-এ অভিনয় করতে পেরে নিজেদেরকে ধন্য মনে করেন বলে জানান।

নাট্য নিদের্শক আব্দুস সবুর তার নির্দেশিত নাটক দেখতে প্রচুর দর্শক পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন। এ থেকে তিনি আগামীতে আরো ভালো ভালো নাটক নির্দেশনায় তাকে অনুপ্রানীত করবে বলে জানালেন।

গোপালগঞ্জ জেলা উদীচীর সভাপতি মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, বাঙ্গালী গ্রামীন ঐতিহ্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতেই উদীচী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সাধারন মানুষ যাতে আরো এ ধরনের অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃত্ত হয় তারই একটা প্রয়াস এ অনুষ্ঠান।

হারিয়ে যাওয়া বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে এ ধরনের অনুষ্ঠান আরো বেশী করে করতে সাংস্কৃতিক সংগঠন এগিয়ে আসবে এমনটি প্রত্যাশা গোপালগঞ্জবাসীর।

(এমএইচএম/এএস/জানুয়ারি ১৩, ২০১৬)