স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাবেক পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারা বিশ্বের মানুষ যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য, বাংলাদেশের অদম্যগতিতে এগিয়ে যাওয়াকে স্বীকার করে নিচ্ছে সেখানে খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতারা সরকারের এসব সাফল্য দেখছে না।

বুধবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে মহাজোট সরকারের দুই বছর পূর্তি ও সাফল্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের (ঢাকা বিভাগীয় শাখা) উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের পর বিএনপির নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নাকি শুধু উন্নয়নের কথা বলেছেন কিন্তু, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেননি। বিএনপির নেতাদের জ্ঞাতার্থে আমি বলতে চাই, প্রকৃতপক্ষে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে আপনারা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রক্ষা হয়। তাই আপনাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।

হাছান মাহমুদ বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই আপনারা লাগামহীন কথাবার্তা বলতে পারছেন। সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন।

বিএনপি নেতাদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাফল্যগুলোও জনগণের সামনে তুলে ধরুন। আমরাও সমালোচনা চাই। তবে তা হতে হবে গঠনমূলক। কারণ গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের কর্মকাণ্ডকে আরো শাণিত করবে।

এসময় হাছান মাহমুদ বিএনপির নেতাদের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএনপির শোচনীয় অবস্থার কারণ অনুসন্ধান করার জন্যও পরামর্শ দেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচনেও শেখ হাসিনার সরকারকে নির্বাচিত করার জন্য জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া একদিনও ক্ষমতায় থাকতে চাই না। দয়া করে আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরো সময় দিন দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। দেখবেন এক সময় বিশ্ববাসী সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার উন্নয়নের গল্প না করে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শুনবে।

মাকসুদুর রহমান মাকসুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মনোরঞ্জন ঘোষাল, এম এ করিম, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১৩, ২০১৬)