সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ট্রাক চালক ও হেলপারদের পরিচয়পত্র (কারপাস) জমা দেওয়া নিয়ে  ভারত বাংলাদেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ রয়েছে ভোমরা বন্দরে আমদানি রপ্তানির কার্যক্রম।

দফায় দফায় উভয় দেশের ব্যবসায়িরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলেও কাটেনি জটিলতা। উভয় দেশের সিএ্যান্ডএফ এজেণ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ দেশের কাস্টমস কমিশনারের কাছে আবেদন নিবেদন করে ঘোজাডাঙা বন্দরে মজুদ থাকা বেশ কিছু পচনশীল পণ্যবাহি ট্রাক রপ্তানির জন্য তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

ভোমরা সিএ-এফ এজেন্ট এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে ও বাংলাদেশ থেকে আমদানি ও রপ্তানির কাজে ব্যবহৃত সকল ট্রাক চালক ও হেলাপারকে কাস্টমস এ পরিচয়পত্র ও ছবি জমা দিতে বাধ্য করার (কারপাস) প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে ভারতীয় সিএন-এফ এজেন্ট (কার্গো) এ্যসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ ভোমরা বন্দরে গাড়ি ঢোকায়নি। এ ছাড়া ভোমরা বন্দর থেকে ভারতের ঘোজাডাঙায় কোন বাংলাদেশি পণ্যভর্তি ট্রাক ঢোকাতে বাধা দেয় তারা।

কারণ হিসেবে যানজট তৈরির দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন তারা। একপর্যায়ে সমস্যা সমাধানে ভোমরা সিএ-এফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ, ভোমরা সহকারি কাস্টমস কমিশনার, কাস্টমস সুপার, ভারতের ঘোজাডাঙা কাস্টমস সুপার, ঘোজাডাঙা কাস্টমস সহকারি কমিশনার ও ঘোজাডাঙা সিএ-এফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ ভোমরা কাস্টমস অফিসের গোল ঘরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৬টা থেকে ঘণ্টাব্যাপি এক আলোচনা সভায় মিলিত হন। কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়ে যায়।

বুধবার সকাল ১১টা ধেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ নিয়ে ঘোজাডাঙা কাস্টমস অফিস এলাকায় আবারো বৈঠক বসে। বৈঠকে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলেও ঘোজাডাঙা পার্কিং ইয়ার্ডে রপ্তানির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা পচনশীন পণ্যবাহি ট্রাক ( লেবু, আপেল, আঙুর,আদা) আগামি তিন দিনের মধ্যে ভোমরা বন্দরে ঢুকিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সে কারণে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পচনশীল পণ্যভর্তি ট্রাকগুলো ভোমরা বন্দরে ঢুকতে শুরু করে।








(আরএনকে/এস/জানুয়ারি১৩,২০১৫)