দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি :নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর থেকে শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক যোগাযোগ সড়ক এর বেহাল অবস্থা। দুর্গাপুর থেকে জেলা শহর নেত্রকোনা, সদ্য বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ এবং রাজধানী ঢাকা’র সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সড়কের করুন অবস্থার প্রতিনিয়ত শিকার দুর্গাপুরবাসী।

নেত্রকোনা জেলা সড়ক ও জনপদের এই রাস্তা সর্বশেষ ২০১১ সালে বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি, তৎকালীন স্পীকার মোঃ আব্দুল হামিদ ও এই এলাকার তৎকালীন সাংসদ মোস্তাক আহমেদ রুহী একনেক বরাদ্দের ৯০ কোটি টাকা ব্যায়ে শ্যামগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত মোট ৩৬ কিঃমিঃ রাস্তা, ছোট,বড় ১২ টি ব্রীজ সহ ধারাবাহিক উন্নয়ন কাজের শুভ-উদ্ভোধন করেন, যা লক্ষ্যনীয় ভাবে দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা নির্মানে এবং অবহেলিত দুর্গাপুরবাসীর দুঃখ শুকনাকুড়ি সেতু সহ কৃষ্ণেরচর সেতু,পলাশকান্দি সেতুর মাধ্যমে দুঃখ যন্ত্রনার অবসান ঘটে ও দুর্গাপুরবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।

পাহাড়ী কাঠ, কয়লা, বালি, নূড়ি পাথর ও বাংলাদেশের একমাত্র খনিজ সম্পদ সাদা মাটি সহজলভ্যতার সুবাদে ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে এই রাস্তা ধরে প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্য্য’র লীলাভূমি এবং নেত্রকোনা জেলার সর্ব্বোচ্চ সরকারি রাজস্ব আয় এবং খাদ্য উদ্বৃত্ত্ব অঞ্চল সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের যোগাযোগ ঘটে সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী।

বর্তমানে এই আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫শত থেকে/৬শত ট্রাক, স্থানীয় যাত্রী সেবার নিমিত্তে ৪০/৫০ টি বাস, পর্যটকবাহী প্রাইভেটকার সহ ছোট-বড় অগনিত গাড়ি চলাচল করে।

সাম্প্রতিক সরজমিণে গিয়ে দেখা গেছে অতিরিক্ত মাল বোঝাই ট্রাক-লড়ীর দৌড়াত্মে এই আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত দৃশ্যমান ও পিচ ঢালা কালো রাজপথ শুধু নাম স্বর্বস্ব প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকা, জেলা নেত্রকোনা ও বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে বিভিন্ন পেশার প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার লোক নিয়মিত যাতায়াত করে। যারা নিজেদের আজকাল ভূক্তভোগী হিসাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আলাপচারিতায় তুলে ধরছেন তারপরেও জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়ছে না ।

এই এলাকার শত শত বাসিন্দা জানিয়েছেন যে, তারা এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান চায় এবং প্রশাসনের সু-দৃস্টি কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান জানান, তিনি এই ব্যাপারে অবগত আছেন এবং এই ব্যাপারে তিনি উচ্চ পর্যায়ে আবেদন করেছেন, শীঘ্রই এই সড়কটির পরিচর্যার কাজ শুরু হবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন ।

প্রায় ৪ লাখ বাসিন্দার বসবাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও সম্পদের ভূমি তাঁর যোগাযোগের প্রধান সড়কটির উন্নয়নের নিমিত্তে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী । অভিজ্ঞ জনেরা বলেন এই রাস্তা সাময়িক রিপিয়ারিং করে কোন লাভ নেই ,শুধু সরকারের অর্থই ব্যায় হবে। নতুন ভাবে আন্তজার্তিক মানের রাস্তা করলেই এ রাস্তা টেকসই হবে।





(এনএস/এস/জানুয়ারি১৫,২০১৬)