বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটের শরণখোলার সোনতলা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাধের দুই পাশে রোপণকৃত সামাজিক বনায়নের গাছ রাতের আধারে লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা।

একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন সংলগ্ন দাসের ভারানী থেকে শরণখোলা রেঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকার রাস্তার উভয় পাশের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লুট করছে। ওই চক্রটি এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পারছেনা। তারা গভীর রাতে নির্বিচারে গাছ কেটে বনায়ন উজাড় করে চলেছে। বনায়নের গাছ চেরাই করে নৌকা ও ট্রলার তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি এলাকার বাইরেও ট্রলার বোঝাই করে পাচার হয়ে যাচ্ছে বনায়নের এসব গাছ।

সামাজিক বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৯০এর দশকে বেড়িবাধ রক্ষার জন্য বাধের উভয় পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। ২০-২৫ বছরে ওই চারা পরিপূর্ণ গাছে পরিনত হয়। ঝড় জলোচ্ছাসের হাত থেকে বাধসহ এলাকা ভাঙনের হাত থেকে গাছগুলো এলাকাবাসীকে রক্ষা করেে চলেছে। কিন্তু স্থানীয় একটি পাচারকারী চক্র রাতের আধারে তা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বনায়ন রক্ষা কমিটির স্থানীয় সভাপতি মো. আব্দুস সাত্তার খান বলেন, দুবৃত্তরা যেভাবে গাছ লুট শুরু করেছে তাতে কিছুদিনের মধ্যে বনায়ন ধ্বংস হয়ে যাবে। বনায়নের গাছ লুটকারীরা সকলেই স্থানীয় প্রবাবশালী ব্যক্তি। তাদের চিহ্নত করে প্রসাশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করলে বনায়ন রক্ষা পাবে।

শরণখোলা উপজেলা সামাজিক বনায়ন কর্মকর্তা মো. ফোরকানুল আলম গাছ লুটের কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালী জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র ওই গাছ পাচারের সাথে জড়িত। ওই চক্রটি রাতের আধারে বনায়নের চাম্বল, মেহগিনি, রেইনট্রি, শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিপক্ক গাছ কেটে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা বিক্রি করে আসছে। ১৯ জানুয়ারি সোনাতলা এলাকা থেকে দুবৃত্তদের ফেলে যাওয়া দুটি গাছ জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


(এসএকে/এস/জানুয়ারি২১,২০১৬)