বাগেরহাট প্রতিনিধি :বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে করে মাছ শিকারের অভিযোগে একটি ট্রলারসহ ১০ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে বাগেরহাটের সুন্দরবন উপকূলের বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক জেলেদের শুক্রবার বিকেলে মংলা থানায় হস্তান্তর করেছে নৌবাহিনী। আটককৃতরা জেলেরা হলো, সঞ্জিত দাস (২৬), হারাধন দাস (৪৫), কিশোর দাস (৫০), প্রভাত দাস (২২), শ্বেত দাস (৪৫), অমল দাস (২৪), গুরুধন দাস (৩০), সৌরভ দাস (২০), একাদশী মন্ডল (৪০) ও সঞ্জিত দাস (২৩)। আটককৃত জেলেরা সাবাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কাকদ্বীপ থানার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

নৌবাহিনীর বিএনএস কর্ণফুলী জাহাজের পেটি অফিসার এমশাহ আলম জানান, বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় নিয়মিত টহল দেয়ার সময় বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করার অভিযোগে এফবি সনাতন ট্রলারসহ ১০ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়। এসময় ট্রলারটি থেকে বিপুল পরিমাণ মাছ উদ্ধার করা হয়। পরে এসব মাছ পরে নিলামে ১ লাখ ৩০হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আটকৃত জেলেদের শুক্রবার বিকালে মংলা থানায় হস্তান্তর করে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে অবৈধ্য অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০১৫ সালে নৌবাহিনীর সদস্যরা ৩২৯ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে বাগেরহাট কারাগারে পাঠায়। স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সর্বশেষ ১৭৮ জন ভারতীয় জেলেকে গত ১৪ জানুয়ারী সমুদ্র পথে পুশব্যাকের মাধ্যমে সবাইকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এই পুশব্যাকের এক সপ্তাহের মধ্যেই আবারও ভারতীয় জেলেদের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে করে মাছ শিকারের অভিযোগে আটক করলো নৌবাহিনীর সদস্যরা।

মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান জানান, আটক ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর পেটি অফিসার এম শাহ আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে আটকৃকত এসব ভারতীয় জেলেদের বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


(এমএইচএম/এস/জানুয়ারি,২০১৬)