লিটন শরীফ, হাকালুকি হাওর থেকে ফিরে :এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে শেষ হয়েছে দু’দিনব্যাপি পাখি শুমারি। এবারের শুমারিতে গত বছরের তুলনায় অতিথি পাখির সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক।

পাখি শুমারি শেষে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য ইনাম আল হক জানান, ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে অনুষ্টিত হয়েছে দু’দিনব্যাপি পাখি শুমারি। এবারে হাকালুকি হাওরের ছোটবড় ২৩৮ টি বিলের মধ্যে ৪২টি বিলে পাখি জরিপ কাজ চালানো হয়। প্রাপ্ত জরিপে ৫৬ প্রজাতির ৩৪ হাজার ২৬৪টি পাখি দেখা গেছে। যা গত বছরের তুলনায় ১২ হাজার ৬৩৩টি বেশি। ২০১৫ সালে পাখি শুমারিতে ২১ হাজার ৬৩১টি পাখি গণনা করা হয়।

এদিকে, পাখি শুমারি শুরু হওয়ার আগে গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬ দিনব্যাপি পর্যন্ত হাকালুকি হাওরে আসা পরিযায়ি পাখিদের পায়ে রিং লাগানো হয়। এবার ১৫ প্রজাতির সাড়ে ৩শ পরিযায়ি পাখির পায়ে রিং লাগানো হয়। অর্থাৎ গতবছর ২০১৫ সালে ৩৩ প্রজাতির ৩৭০টি পরিযায়ি পাখির পায়ে রিং লাগানো হয়েছিল।

এবার ক্যাম্প চলাকালে গত বছরের রিং লাগানো ৩০ টি পাখি পাওয়া গেছে। যারা সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে ফেরৎ এসেছে বলে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক জানান।
তিনি আরও জানান, এবার ক্যাম্প চলাকালে বিরল প্রজাতির ঝাড়ফুটকি (বুশ ওয়ারব্লেয়ার) পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, দেশের যেসকল স্থানে অতিথি পাখি সমাগম ঘটে হাকালুকি হাওর তাদের অন্যতম। দু’দিনব্যাপী পাখি শুমারিতে আর্থিক সহায়তা করছে ইউএসএআইডি’র ক্রেল প্রকল্প।


(এলএস/এস/জানুয়ারি২৭,২০১৬)