বিশ্বজিৎ দাস : বন্দরের কদমরসুল কলেজে ১০ কোটি টাকার উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এর মধ্যে সংসদ সদস্য তার নিজস্ব তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা এবং তার ব্যবসায়ী সহযোগিদের কাছ থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে কলেজটিতে আরও ৯ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

সেই লক্ষ্যে তিনি কলেজের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডিজিটাল নকশার মাধ্যমে জমির পরিমাণসহ সার্বিক প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার কথা বলেন। প্রস্তবনা পাওয়ার পর যেকোন দিন সংসদ সদস্য তার বিশ্বস্ত লোকদের নিয়ে কলেজের প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে কলেজের উন্নয়নে নিজেই দায়িত্ব গ্রহণ করার ঘোষণা দেন।

শনিবার(৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কদম রসুল কলেজের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে কদমরসুল কলেজে ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা হবে। এর মধ্যে থেকে তার নিজস্ব তহবিল থেকে আপাতত ১ কোটি টাকা প্রদান করবেন। আর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগীতা নিয়ে আরও ৯ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা হবে। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী কদমরসুল কলেজে সারা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হবে। যার মধ্যে কলেজের অভ্যন্তর সহ চারপাশের নিরাপত্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, অত্যাধুনিক মাল্টিমিডিয়ার ক্লাস রুম, অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব ও লাইন্স ল্যাব, ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য পৃথক-পৃথক কমন রুম, ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের ৮০ কক্ষ বিশিষ্ট ৮ তলা অত্যাধুনিক একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কলেজটির প্রতি বিশেষ নজর দিতে চান। তাই তিনি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডিজিটাল সার্ভে রিপোর্ট ও প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার কথা বলেন। ডিজিটাল সার্ভে জমা দেওয়ার পর যেকোন দিন তিনি বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নিজে কদমরসুল কলেজের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর শিরীন বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী, সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সহ ধর্মিনী নাসরিন ওসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) শাহীন আরা বেগম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্যের নাতি আদিয়াৎ জ্জোহায়ের, আজমান হোসেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল জাহের, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মিনারা নাজমীন, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার, আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজ উদ্দিন, বিকেএমইএ এর সহ সভাপতি(অর্থ) জিএম ফারুক, পরিচালক হুমায়ন কবির খান শিল্পী, শামীম আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি মাহমুদ হোসেন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, আনোয়ার হোসেন, ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, রেজওয়ানা হক সুমি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়াত আলম সানি, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, সহ সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম রিয়াদ, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকুসদ হোসেন, জেলা মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদিকা আলেয়া বেগম, পলি বেগম প্রমুখ।

(পি/জানুয়ারি ৩০, ২০১৬)