নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একমাত্র শিশু পার্কটিকে   আধুনিকতার কোন ছোঁয়া এখনো স্পর্শ করতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে পার্কের কোন সংস্কার কাজ না করায় এমনকি বিনোদনের কোন সরঞ্চামাদি সংযুক্ত না করায় পার্কটি এখন গো-চারণ ভুমিতে পরিণত হয়েছে

। প্রায় ১বিঘা জমিতে উপজেলা পরিষদের অফিসার ও কর্মচারীদের সন্তানদের চিত্ত বিনোদনের কথা মাথায় রেখে শিশুদের প্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে এটি তৈরি করা হয়েছিল সেই জাপা সরকারের শাসনামলে । পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে ওই পার্কের উন্নয়নে সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। যা এখনও অবহেলীত হয়েই রয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৮৫সালে উপজেলা পরিষদ প্রবর্তনের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের মত ৮৬’সালে রাণীনগর উপজেলা সদরের বালুভরা মৌজায় ১১.৬৮ একর জমির ওপর প্রশাসনিক দপ্তর, আবাসিক ভবন, মসজিদ ও শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য একটি পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সময়ের বিবর্তনে ভবনগুলো কয়েক দফা সংস্কার মেরামত ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হলেও শিশু পার্কটির ওপরে উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের তিন দশক ধরে কোন সুনজর পড়েনি। ফলে এখন আর সেটি শিশু পার্ক নেই।

দীর্ঘ সময় ধরে অবহেলা অযন্তে পড়ে থাকায় শিশুদের চিত্তবিনোদনের একমাত্র পার্কটি দিনদিন তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। ফলে উম্মুক্ত বিনোদন থেকে এখানকার শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত রয়েছে। ইতোমধ্যেই শিশুদের যতটুকু খেলনা সামগ্রী পার্কে ছিল, তার মধ্য থেকে আবার রাতের আঁধারে বেশকিছু খেলার সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে মাঝে মধ্যেই এখানে মাদক সেবীদের আসা-যাওয়া লক্ষ্য করা যায়। পার্কের ভেতরে জায়গা পড়ে থাকার কারণে উপজেলা পরিষদের এক শ্রেণীর কর্মচারীরা নানান জাতের শাক-সবজির গাছ রোপণ করে ভোগদখল করছেন। পার্কটি যেন দিনদিন সুষ্ঠ নজরদারীর অভাবে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ছে। শিশুরা খোলা-মেলা, খেলার জায়গা না পাওয়ায় বিশেষ করে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত প্রায় ১৪টি পরিবারসহ আশ-পাশের ছেলে-মেয়েরা ঘরে বসেই গেম খেলার জন্য কম্পিউটার মুখী হয়ে পড়ছে। এখানকার অধিকাংশ অফিসার সন্তানদের পড়া-লেখা, খেলা-ধূলার মানসম্পূর্ণ পরিবেশের জন্য নওগাঁ জেলা সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া বিনতে তাবিব সাংবাদিকদের জানান, শিশুদেরকে পড়া-লেখার পাশা-পাশি বিনোদন মুখী করার লক্ষ্যে উপজেলা কাম্পাসে অবস্থিত শিশুপার্কটি পরিস্কার পরিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। শিশুদের খেলা-ধূলা ও অন্যান্য বিনোদনে আকৃষ্ট করার জন্য মানসম্পূর্ণ খেলার সামগ্রী পুনঃস্থাপনের জন্য খুব তাড়াতাড়ি প্রকল্প হাতে নিয়ে এর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করা হবে।


(বিএম/এস/জানুয়ারি৩১,২০১৬)