স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মা সেতু এখন আর কোন দুঃস্বপ্ন নয়, এটা একটি দৃশ্যমান বাস্তবতা বলে মন্তব্য করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া ২০১৮ সালের দিকে পদ্মা সেতুটি যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার দুপুরে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালী ব্রিজের ওপর নির্মিত প্রায় ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে পিসিগার্ডার সড়ক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মাসেতু নির্মান করা হবে। অনেকেই ভেবেছিল দেশের মাটিতে পদ্মাসেতু নির্মাণ দুঃস্বপ্ন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আজ আমরা পদ্মাসেতুর মুল সেতুর কার্যাদেশ দেওয়ার একেবারেই দোরগোড়ায় এসে দাড়িয়েছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মূল সেতুর কাজ শুরু হবে। শুধু অর্থায়ন ছাড়া এ সেতুর ডিজাইনসহ সব কিছুই বিশ্ব ব্যাংক দিয়ে করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক যে পরামর্শ দিয়েছিল তার সব কিছুই ঠিক রাখা হয়েছে। যথা সময়েই পদ্মাসেতুর নির্মান কাজ শুরু হবে। এপ্রোস কাজ শেষে আগামী আগষ্ট মাসেই নদী শাসনের কার্যাদেশ দেওয়া হবে। অর্থাৎ পদ্মা সেতু এখন আর কোন দুঃস্বপ্ন নয়। এটা একটি দৃশ্যমান বাস্তবতা। ১৮ সালের দিকে পদ্মা সেতুটি যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। দেশে এখন সড়কের ১৬ শো কোটি টাকার কাজ চলছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় স্থানীয় চৌরাস্তা মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে এখন আগাছা-পরগাছা ঢুকে পড়েছে। যার প্রমান নারায়নগঞ্জ ও ফেনি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে আওয়ামী লীগের সুদ্ধি অভিযান চলছে। এখন সময় এসেছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হাইব্রিট ও ফরমালিন মার্কা আওয়ামী লীগ প্রতিরোধ গড়ে তোলার।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফখরুল আলম হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জন সভায় ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। পরে তিনি লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন।

(ওএস/এটিআর/জুন ০১, ২০১৪)