দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে নবাবগঞ্জের ইউএনও সৈয়দ ফরহাদ হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৪ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। জামিন পেয়েছেন ৩ জন আর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ৫ আসামীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোপাল চন্দ্র রায়ের আদালতে আত্মসমর্পন করে নবাবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৭ জন নেতাকর্মী জামিনের আবেদন করলে বিচারক ৩ জনের জামিন মঞ্জুর করে ২৪ জনকে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

২০১৪ সালের ১ অক্টোবর নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯ জন নৈশ্য প্রহরী কাম পিয়ন নিয়োগকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ইউএনও অফিসে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও ইউএনও সৈয়দ ফরহাদ হোসেনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় ইউএনও অফিসের সুপার আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই বজলুর রশিদ তদন্ত করে ৫ জনকে মামলা থেকে অব্যহতির আবেদন করেন এবং তদন্তকালীন আরো ২ জনসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন।

হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার ৩২ জনের মধ্যে ২৭ জন আসামী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক আবেদন নাকচ করে ২৪ জনকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। জামিন মঞ্জুর করেন ৩ আওয়ামী লীগ কর্মী মুকুল (৪০), মোস্তাফিজুর রহমান (৪২) ও হারাজ আলী (৫০)। জেল হাজতে পাঠানো ২৪ জন নেতাকর্মী হলেন তাইবুর রহমান (২৮), মারফিজুল (৩০), জনি (২৫), রাসেল (২৬), মনোয়ার (৪০), দিলিপ কুমার (৩৫), জিয়াউর রহমান মানিক (৩৮), আব্দুল মান্নান (৪০), আলম (৩৫), আশরাফুল (৪০), রুহুল আমিন (৩০), আখেরুল ইসলাম (৩২), শাহিনুর রহমান সবুজ (৩৫), শাহিনুর (৩৪), নুর শামীম (৩৭), সাইফুল (৩০), হুমায়ুন কবির (৩২), আব্দুল হাদি (২৯), মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৩), মাবেদুর (৩২), আলমাস (৩০), মামুন (২৫), বাবু (২০) ও জামিনুর রহমান (৩০)।

আদালতে হাজির না হওয়ায় ৫ আসামী আবু ওয়ালি, উজ্জল, মাসুদ, রানা ও আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়।

(এটি/এএস/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬)