দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : অভিনব অনলাইন জুয়ার কবলে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার অধিকাংশ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা অবাধ তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহারে তীর কাউন্টার নামক অভিনব বৈদেশীক জুয়া জড়িত। অর্থ লোভে পরে কেও হয়েছে স্বর্বশান্ত-কেউ উঠছে ফোলে-ফেঁপে ।

ভারতের মেঘালয় রাজ্য’র কূলঘেষা বাংলাদেশের প্রান্তিক সীমান্তে অবস্থান দুর্গাপুর উপজেলার ,যা নেত্রকোনা জেলার অধীনে এক উপজেলা এবং নবগঠীত ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত। মেঘালয় রাজ্য-সরকারের অনুমোদিত এবং মেঘালয়ের রাজধানী শিলং হতে পরিচালিত প্রতি সোমবার থেকে শনিবার ডব্লিও ডব্লিও ডব্লিও ডট তীর কাউন্টার ডট কম জুয়া’র আসর অনুষ্ঠিত হয়, ভারত সীমান্ত নিকটবর্তী হওয়ার সুবাদে ভারতের বৈধ্য জুয়া, সীমান্ত পেড়িয়ে তথ্য-প্রযুক্তির হাত ধরে এসে পৌঁছেছে দুর্গাপুরে।

মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর থানা পুলিশ আভিযান চালিয়ে পৌর শহরের দুর্গাপুর বাজারের নাজিরপুর মোড়ে আঁখি জুয়েলার্সের দোকানের ভিতর থেকে জুয়া খেলারত অবস্থায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোকলেছুর রহমান চকলেঙ্গুরা গ্রামের নির্মল রবি দাস, বুরুঙ্গা গ্রামের অরুণ রবি দাস, সাধুপাড়া গ্রামের রবিন মিয়াকে বংগীয় প্রকাশ্যে জুয়া আইন ১৮৬৭ এর ৪ ধারায় দোষী সাবস্ত হওয়ায় প্রত্যেক অভিযুক্তকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২শত টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৭ দিনের বিনাশ্রম করাদণ্ডে দন্ডিত করে। অপর ২ জন সাধুপাড়া গ্রামের হযরত আলীকে ৫শত টাকা এবং ফারুক মিয়াকে ১হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয় আদালত

পুলিশ সূত্র মতে, উপজেলা সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন দুর্গাপুর এর কালিকাপুর-ফান্দাতে প্রথম শুরু হয় এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি জুয়া। ঝামেলা বিহীন হওয়ার জন্য ধীরে ধীরে এর ব্যাপ্তি ঘটে উপজেলার আনাচে-কানাচে। অসংখ্য ছাত্র-শিক্ষক-আমলা-কামলা লাভ-লোভ থেকে এই অভিনব জুয়ার ফাঁদে নিজেদের জড়িয়ে ফেলে হয়েছে ফতুর, অন্যদিকে যারা এই অভিনব ফাঁদ পেতেছে তারা রাতারাতি হয়ে উঠছে টাকার কুমির, কারো পৌষ মাস-কারো সর্বনাশ।

(এনএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬)