কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতনিধি :“খুব ইচ্ছে ছিলো বন্ধুগো লগে যাইয়া শহীদ মিনারে ফুল দিমু। কিন্তু আমাগো স্কুলেতো শহীদ মিনার নাই। আর আমরা গ্রামে থাহি। ছোড মানুষ। আমরা তো কলাপাড়া যাইয়া ফুল দেতে পারমু না। তাই আমরা নিজেরাই এই শহীদ মিনার করছি। দ্যাহেন না ফুল দিয়া কি সুন্দর সাজাইছি”।

এ কথাগুলো প্রায় এক নিশ্বাসেই বললো মনিং ষ্টার প্রি-ক্যাডেট স্কুল নাচনাপাড়া শাখার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী জিদনী।

কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাসার উঠানের এক কোনে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে তারা তৈরি করে এই শহীদ মিনার। ছোট বোন আফসারা কে নিয়ে প্রথমে শহীদ মিনার নির্মান শুরু করলেও পরে তাদের সাথে যোগ দেয় খেলার সাথী লাইলী, রিফাত, অনিক, মার্জিয়া ও নাইমা।

কলাগাছের পাতার ডগা দিয়ে তৈরি করে তিনটি স্তম্ব। মাটি দিয়ে লিপে সেই শহীদ মিনারের বেদি সাজিয়ে তোলে প্রতিবেশীদের বাগান থেকে গোপনে নিয়ে আসা ফুল দিয়ে। বড়দের মতো দাড়িয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়াও করে তারা ৭ জন।

শিশুদের এই ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে দেখে বড়রাও তাদের সাথে যোগ দেয়। নিজেদের তৈরি শহীদ মিনারের পিছে দাড়িয়ে ছবিতে হাস্যোজ্জল জিদনী ও আফসারা। তবে তাদের প্রশ্ন স্কুলে ও মাদ্রাসায় কেন নেই শহীদ মিনারে। স্কুলে-মাদ্রাসায় শহীদ মিনার থাকলে আমাগো সব বন্ধুরা এক লগে ফুল দিতে পারতাম। কিন্তু তাদের প্রশ্নের উত্তর ছিলো জিদনী বাবা মো. দুলাল হোসেনসহ উপস্থিত গ্রামের মানুষের কাছে।

(এমকেঅার/এস/ফেব্রুয়ারি২১,২০১৬)