কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে পায়রা বন্দরে পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য রিভার ক্রুজ ও এবং সী ক্রুজ চলাচলের ব্যবস্থা করাসহ কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের পর্যাপ্ত বিনোদনের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড গ্রহন করেছে সরকার। সরকারি উদ্যেগের পাশাপাশি কুয়াকাটার উন্নয়নে বিনিয়োগকারী ও স্থানীয়দেরও পর্যটকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার দুপুর ১২ টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় পর্যটন হলিডে হোমেস্ যুব পান্থ নিবাস হল রুমে “পর্যটন উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায়” প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ এমপি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও পটুয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনায়য়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত রক্ষায় এবং বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন রোধ করতে হবে।এজন্য বেড়িবাঁধ উঁচু করা হবে। সরকার। সমুদ্রের লবন পানি যাতে আবাদী জমি নষ্ট না পারে সেজন্য জলকপাট মেরামত এবং নতুন জলকপাট নির্মাণ করা হবে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর চালু হলে কুয়াকাটাসহ কলাপাড়ার ব্যাপক পরিবর্তন হবে। পাল্টে যাবে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা। উপকূলীয় মানুষ আর বেকার থাকবে না। পায়রা বন্দরে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোশারেফ হোসেন, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ মোতালেব তালুকদার, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা, মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. ছালাম আকন প্রমুখ।

সভার শুরুতে তাঁরা কুয়াকাটার ওয়াচ টাওয়ার নির্মানের সম্ভাব্য জায়গা যাচাই এবং কুয়াকাটা সৈকত ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গঙ্গামতি এবং লেম্বুরচর সৈকত পরিদর্শন করেন।

(এমআরকে/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬)