কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পরীক্ষা দেয়া হলো না পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চারচাপলী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া সেই শাহীন হাওলাদারের। তার জীবন থেকে ঝরে গেছে একটি শিক্ষাবর্ষ।

গ্রাম্য রাজনীতির প্রতিহিংসার বলি হয়ে এখন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে গত দু’দিন ধরে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে সে। ইতিমধ্যে শরীরে তিন ব্যাগ রক্ত দেয়া হলেও এখন শঙ্কামুক্ত হয়নি। শনিবার রাতে তার মেরুদন্ড ও পেটে অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।

চরচাপলী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী আলী আহমেদ জানান, রবিবার শাহীনের বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিলো। কিন্তু ওর জীবন শঙ্কার কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি। অপারেশন টেবিলে যাওয়ার আগেও বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখায় সে। কিন্তু গুরুতর আহত হওয়ার কারণে ডাক্তারের পরামর্শে তারা সেই ঝুঁকি নিতে পারেন নি।

এদিকে সন্তানের উপর বর্বর হামলা ও পরীক্ষা দিতে না পারার কারণে ভেঙ্গে পড়েছে শাহীনের বাবা-মা। শাহীনের পিতা দেলোয়ার হাওলাদার জানান, কি কারণে তার ছেলেকে কোপানো হয়েছে তা এখনও ধোয়াশা। সন্ত্রাসীদের কারনে তার ছেলের শিক্ষা জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ওই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নোংরা রাজনীতি বন্ধের আহবান জানান।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চরচাপলী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন ও ধুলাসার ইউনয়নের ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সোহাগকে কুপিয়ে জখম করে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে ধুলাসার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল মৃধার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালায় বলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্পাদক মো. পারভেজ জানান।

(এমকেআর/পি/ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬)