গাইবান্ধা প্রতিনিধি: দারিদ্র্যতা আর ভালবেসে ঘর করার স্বপ্ন পুরণ না হওয়ায় প্রেমিক যুগল রোস্তম আলী খন্দকার (১৭) ও সুলতানা আকতার মুক্তি (১৫) রাতের আঁধারে একসঙ্গে গাছে একই রশি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

রবিবার ভোর রাতে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর (জানপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রোস্তম আলী খন্দকার সাদুল্যাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর ফকিরপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে। সে সাদুল্যাপুর ডিগ্রী কলেজের একাদশ প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সুলতানা আকতার মুক্তি একই গ্রামের উকিল মিয়ার মেয়ে। সে মহিষবান্দি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয়রা জানান, রোস্তম আলী খন্দকারের সঙ্গে একই গ্রামের সুলতানা আকতার মুক্তির প্রেম চলছিল। প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে দু’জনের পরিবার তাদের সর্ম্পক মেনে নিচ্ছিল না। এ কারণে ঘর বাঁধার স্বপ্নে কয়েকদিন আগে দু’জনে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে রবিবার রাতে যে কোন সময় জানপাড়ার গ্রামের পুকুরের ধারে একটি গাছের ডালের সঙ্গে রশি ঝুলিয়ে একই রশিতে আত্মহত্যা করে তারা। স্থানীয় লোকজন রবিবার সকালে দু’জনের লাশ ঝুলতে দেখে তাদের পরিবারকে জানায়।

এদিকে, একই সঙ্গে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে গাছের নিচে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় করেন। সেই সঙ্গে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন সরকার উত্তরাধিকার ৭১ কে জানান, দু’জনের পরিবারে দারিদ্রতা রয়েছে। কোন রকমে তারা লেখাপড়া চালিয়ে আসছিল। এমন মৃত্যুর ঘটনা তিনি এরআগে দেখেননি। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে’।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস উত্তরাধিকার৭১ কে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রেমজনিত কারণেই তারা মনের ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


(আরআই/এস/মার্চ১৩,২০১৬)