কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কলাপাড়ার কুয়াকাটা বাস কাউন্টার দখল নিয়ে  যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ব্যবসায়ী মো. আসমত আলীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কুয়াকাটা পৌরসভার চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

হামলায় গুরুতর আহত কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি নুর সায়েদ (৩৮) ও কুয়াকাটা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার খলিফাকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগের নিয়ন্ত্রনে থাকা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র বাস কাউন্টার পরিচালনা নিয়ে মঙ্গলবার হঠাৎ করে কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মজিবর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আল আমীন কাজীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ রামদা, ছেনা, বগি এবং লাঠিসোটা নিয়ে ওই কাউন্টার দখল করতে যায়। এ সময় যুবলীগ সভাপতি সাগর মোল্লার নেতৃত্বে যুবলীগের গ্রুপটি বাঁধা দিলে ছাত্রলীগের সভাপতি মজিবর রহমানের গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। অন্তত আধা ঘন্টা ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এ সময় কুয়াকাটায় অবস্থানরত পর্যটকদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর মো. সাগর মোল্লা বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণে কাউন্টার পরিচালনা হলেও কিছু ছাত্রলীগ কর্মী হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাউন্টার দখল করতে আসে। এ সময় তুহিন নামে ছাত্রলীগের একজন আমার পক্ষের নুর সায়েদকে কোপ দেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মজিবর রহমান বলেন, কাউন্টারের নিয়ন্ত্রণে থাকা যুবলীগের সহ-সভাপতি জয়নাল শেখ এবং আনোয়ার খলিফার সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। তারপর একটু হাতাহাতি হয়েছে।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সঞ্জয় মন্ডল বলেন, বাস কাউন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মূলত দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে।

(এমকেআর/এএস/মার্চ ১৫, ২০১৬)